ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ‘মেয়রের গুলিতে’ ছাত্রলীগ নেতা আহত

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দরপত্র নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Dec 2015, 01:05 PM
Updated : 2 Dec 2015, 07:46 PM

কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন বুধবার দুপুরে পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর গুলিতে আহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে।

হামলার জবাবে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ার কথা আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজ স্বীকার করলেও তাতে কেউ আহত হননি বলে তার দাবি।

গুলিবিদ্ধ সুমনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ আজবাহার আলী জানিয়েছেন।

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগ দুটি পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান ও পৌর মেয়র মোস্তাফিজ।

স্থানীয়রা জানায়, দুই মাস আগে পৌরসভার বাকুলিয়া খয়েরতলা রাস্তার কাজের ২৭ লাখ টাকার টেন্ডার হয়। কাজ শুরুর পর সংসদ সদস্যের পক্ষ কাজ বন্ধ করে দেয়। ফের রাস্তার কাজ শুরু হলে বুধবার আবার তা বন্ধ করে দেয় ওই পক্ষ। এনিয়ে দুই পক্ষের গোলযোগ বাঁধে।

পুলিশ কর্মকর্তা আজবাহার বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিয়ে পৌর মেয়র মোস্তাফিজ রাস্তার কাজ দেখতে গেলে বাধাদানকারীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। সেখানে রাসেল নামে একজন আহতও হন।

“এ ঘটনার পর মেয়র পৌরসভায় ফিরে এলে সেখানেও বাধাদানকারীরা চড়াও হয়। এর পর তিনি বাড়ি চলে গেলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে প্রায় দেড়শ’ লোক মেয়রের বাড়িতে হামলা করে।

“এ সময় মেয়রের সমর্থকরা হামলাকারীদের ধাওয়া করে এবং মেয়র নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে চার রাউন্ড ও শটগান থেকে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন।”

তখনই ছাত্রলীগ নেতা সুমন গুলিবিদ্ধ হন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং মেয়রের বাড়ির আশেপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করে মেয়র মোস্তাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, “বাড়িতে হামলা হলে পিস্তল ও শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়েছি। তবে গুলিতে কেউ আহত হয়নি।”

এ বিষয়ে সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।