রোববার সন্ধ্যায় নলছিটি উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনার পর পুলিশ ট্রলারচালক ইউসুফ আলী হাওলাদার ও তার ছেলে আলাউদ্দিনকে আটক করেছে।
ছিনতাইয়ের কবলে পড়া ব্যবসায়ী বাদশা হাওলাদার একই উপজেলার মোল্লারহাট গ্রামের চান্দু মিয়া হাওলাদারের ছেলে।
বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, “বাকেরগঞ্জ উপজেলার নেয়ামতি লঞ্চঘাট থেকে দুপুরে আমি মালপত্র কিনতে ১০ লাখ টাকা নিয়ে তুহিন নামের লঞ্চে করে ঝালকাঠি আসছিলাম।
“লঞ্চটি ইসলামপুর এলাকায় গেলে একটি ট্রলারে করে পুলিশের পোশাকে দুইজনসহ পাঁচ ব্যক্তি এসে লঞ্চ থামাতে বলে। তারা কাপড় দিয়ে আমার চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। পরে আমার ব্যাগে থাকা ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আমাকে টেনেহিঁচড়ে তাদের ট্রালারে তোলে । ”
“এরপর ট্রলার নিয়ে ভারানি খালের পাশে এসে ছিনতাইকারীরা আমাকে ফেলে চলে যায়। প্রাণ ভয়ে দৌড়ে কিছুদূর গিয়ে বিষয়টি আমি মোবাইল ফোনে মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানাই,” বলেন ব্যবসায়ী বাদশা।
নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ ধাওয়া করে ছিনতাইকারীদের ব্যবহার করা ট্রলারটি আটক করে। এ সময় ট্রলারচালক ইউসুফ আলী হাওলাদার ও তার ছেলে আলাউদ্দিন হাওলাদারকে আটক করে থানায় আনা হয়।”
ছিনতাইকারীরা তাদের ট্রলারটি ব্যবহার করেছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইউসুফ ও আলাউদ্দিন।
ইউসুফ সাংবাদিকদের জানান, ভবানীপুর গ্রামের সোহাগ, কুড়ালিয়া গ্রামের সুফিয়ান এবং পুলিশের পোশাক পরা অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তিসহ পাঁচজন ট্রলার ভাড়া করেন।
লঞ্চ থামিয়ে তারা ওই ব্যবসায়ীর চোখ ও হাত বেঁধে ট্রলারে তোলেন বলে জানান ইউসুফ।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনাটি ঠিক ঝালকাঠি অংশে কিনা এবং ছিনতাইকারীরা পুলিশের পোশাকে ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”