ভাইরাসের আক্রমণে দিশেহারা নরসিংদীর সবজি চাষিরা

কৃষি বিভাগের অবহেলার কারণে মোজাইক ও ফাকরা ভাইরাসের আক্রমণে সবজিভাণ্ডার খ্যাত নরসিংদীর কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2015, 02:11 AM
Updated : 24 Nov 2015, 02:32 AM

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ লতাফত হোসেন জানান, শিবপুর, বেলাবো ও রায়পুরা উপজেলার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির শিমগাছ ইতোমধ্যেই মোজাইক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।

মোজাইক একটি বীজবাহিত ভাইরাস। ছোঁয়াছে বলে এই ভাইরাসের আক্রমণ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে।

কৃষিবিদ লতাফত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বীজবাহিত ভাইরাসে আক্রান্ত শিমগাছের রস খেয়ে সবুজপাতা ফড়িং অন্য গাছে গিয়ে বসলে ওই গাছও আক্রান্ত হয়।

“কোনো গাছ আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে মাটিতে পুঁতে ফেললে এই ভাইরাস ছড়াতে পারত না। মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোকজন সময়মতো পরামর্শ দিলে এটা মহামারি আকার ধারণ করত না।”

সরজমিনে দেখা গেছে, ওই তিন উপজেলায় মাঠের পর মাঠ শিমগাছ হলুদ হয়ে পড়েছে। কিছু গাছে শিম ধরলেও তা আঁকাবাঁকা এবং পোকায় আক্রান্ত।

এসব শিম বেচা যায় না বলে জানান কৃষকেরা।

বেলাবো উপজেলার ভাটেরচর গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, “ভাইরাস দমনের কোনো ব্যবস্থা নেই। কীটনাশক ছিটিয়ে ফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে।”

একই গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেচতে না পারায় এসব শিম এখন গরুকে খাওয়ানো ছাড়া কোনো কাজে লাগে না।”

কৃষি কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে আসেন না বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

“বেলাবো উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার দাসকে বিষয়টি জানানো হলেও তিনি এক দিনের জন্যও মাঠপর্যায়ে আসেননি।”

সোমবার দুপুর ১২টায় এই প্রতিবেদকসহ কয়েকজন সাংবাদিক উপজেলা কৃষি অফিসে গেলে তখন দীপক কুমার দাসকে পাওয়া যায়নি।

তবে পরে তিনি মোবাইল ফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টা আমাকে কেউ জানায়নি।”

কৃষিবিদ মোহাম্মদ লতাফত বিষয়টি তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন।