রাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু

রাঙামাটিতে বৌদ্ধ মন্দির ‘রাজবন বিহার’-এ দুই দিনব্যাপী কঠিন চীবর শুরু হয়েছে।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Nov 2015, 03:10 PM
Updated : 19 Nov 2015, 03:10 PM

বৃহস্পতিবার ৪২তম কঠিন চীবর দানোৎসবের কাপড় তৈরির জন্য বেইন ঘর উদ্ধোধন করেন চাকমা সার্কেল প্রধান ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় এবং চরকায় তুলা থেকে সূতা কাটার উদ্ধোধন করেন রানী ইয়েন ইয়েন।

চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চরকায় সূতা কেটে কাপড় বুনে তা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয় এই উত্সবে। ৩০ অগাস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন বিহারে একে একে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কঠিন চীবর দানোৎসব।

চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় বলেন,“২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি কঠিন চীবর দানের মধ্য দিয়ে আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সংরক্ষিত হচ্ছে। অন্যদিকে বুনন ও বয়ন শিল্পের সাথে আড়াই হাজার বছর পূর্বে বৌদ্ধ কৃষ্টির সংমিশ্রণ হচ্ছে। পাশাপাশি এ কঠিন চীবর দান সম্পাদনের মাধ্যমে সর্ব জীবের মঙ্গল ও সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি হবে।”

অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজবন বিহারের পাশে বেইন ঘরে আগত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্য পঞ্চশীল প্রদান করেন রাঙামাটি রাজ বন বিহারের ভিক্ষু-সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।

এ সময় রাঙামাটি রাজবন বিহারের ভিক্ষু-সংঘ ছাড়াও রাজ বন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক প্রতুল বিকাশ চাকমা, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

এ চীবর দানোৎসবে এবারও তিন পার্বত্য জেলা থেকে অসংখ্য বৌদ্ধ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছে।

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে ‘ভগবান’ গৌতম বুদ্ধের জীবব্দশায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুতা কাটা থেকে কাপড় বুনন, সেলাই ও রং করাসহ যাবতীয় কাজ শেষে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তা দান করার কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান প্রবর্তন করেন মহাপূর্ণবতী বিশাখা।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজ বন বিহার এলাকায় বসেছে মেলা।

শুক্রবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্য চীবর দান করা হবে।