সোমবার তাকেসহ চার জনকে রাঙামাটির মুখ্য বিচারিক হাকিম কাজী মোহাম্মদ মহসেনের আদালতে হাজির করা হয় বলে জানান আদালত পুলিশ পরিদর্শক মো. মমিনুল ইসলাম।
মমিনুল ইসলাম জানান, সোমবার রেনিন সু, ‘আরাকান আর্মির সদস্য’ অংওয়েন রাখাইন এবং রেনিন সু’র বাড়ির দুই তত্ত্বাবধায়ক মংচু অং মারমা ও চুইস অং মারমাকে আদালতে হাজির করানোর দিন ধার্য ছিল।
“আসামিদের পক্ষে কোনো জামিনের আবেদন না থাকায় আদালত তাদের ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
একই সঙ্গে আগামী ১৮ নভেম্বর আসামিদের আবার আদালতে হাজির করার আদেশ দেয় বলেও তিনি জানান।
মমিনুল ইসলাম আরও জানান, রেনিন সু’র বাড়ি থেকে উদ্ধার করা দুটি ঘোড়া সরকারি কোনো পশুসম্পদ বিভাগে রেখে লালন-পালনের জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকতা ওয়াহিদুল সরকার।
যে স্থানে ঘোড়া দুটি লালন-পালনের জন্য আবেদন করা হয়েছে তা সরকারি কি না তা যাচাই-বাচাইয়ের পর আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত, বলেন তিনি।
গত ১৪ অক্টোবর রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার মুসলিম পাড়ার একটি নির্মাণাধীন মসজিদ থেকে যৌথবাহিনী রেনিন সুকে আটক করে।
এর আগে ২৪ অগাস্ট বান্দরবানের থানচির সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবির একটি যৌথ টহল দলের ওপর আরাকান আর্মির হামলা ও গোলাগুলির পর রাজস্থলীতে রেনিন সু’র খোঁজ পায় পুলিশ।
এর দুই দিন পর দুই তলা ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও বিজিবি।
রেনিনকে পাওয়া না গেলেও সেখান থেকে তার সহযোগী অং ওয়েন রাখাইনকে আটক করা হয়। আরাকান আর্মির তিনটি পোশাক, ওই পোশাক তৈরির ৩০ গজ কাপড়, তিনটি ল্যাপটপ, তিনটি ক্যামেরা ও দুটি ঘোড়া পাওয়া যায় ওই বাড়িতে।
তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন ও বিদেশি অনুপ্রবেশ আইনে রাজস্থলী থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ। পরে রেনিন সুকেও ওই দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।