সোমবার বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রথম বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী এই রায় ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহিম জানান, ফাঁসির দণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং সেই সঙ্গে এক আসামিকে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার আবুল কাশেম (৫০) ও তার ছেলে সুজন (২৪), ওই এলাকার মৃত নুরী মিয়ার ছেলে কালু (৪৮) ও তার ছেলে আজমান (২৬)।
বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আনার বেগম, আঙ্গুরী বেগম, মুক্তি বেগম, লিপি, পারভীন ও মালেকা।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে শুধু সুজন উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা পলাতক রয়েছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহিম এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট সুলতানউজ্জামান।
প্রসিকিউটর আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের জানান, ২০১২ সালের ১৬ জুন বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকার উজ্জ্বল মিয়াকে মারধর করে এবং ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্তরা।
এই মামলা আদালত ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এই রায় দিলেন।
এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিহত উজ্জলের মা বকুল বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “এই রায়ে ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদেরকে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।”