বৃহস্পতিবার দুপুরে সজিব আহমেদ শ্যামলের (২৩) লাশ পাওয়া যায় বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
শ্যামল ঢাকার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির বিবিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন বলে স্বজনরা জানান।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৭টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার কানুদী লঞ্চঘাট এলাকায় ‘এমএল হেদায়েত’ নামের চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী একটি লঞ্চে উঠছিলেন শ্যামল।
ওই সময় তাদের নৌকাটি ডুবে গেলে শ্যামল নিখোঁজ হন বলে জানান মোস্তাফিজ।
“বৃহস্পতিবার দুপুরে কানুদী এলাকায় মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।”
চাঁদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মোশারফ হোসেন জানান, বুধবার সকালে এমভি হেদায়েত নামের লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে চাঁদপুর ঘাট ছেড়ে যায়।
ওই লঞ্চে উঠছিলেন ওই ছাত্রসহ আরও দুই যাত্রী। কিন্তু লঞ্চে ওঠার সময় তাদের নৌকাটি উল্টে যায়। মাঝি ও অপর দুজন পাড়ে উঠতে পারলেও শ্যামল নিখোঁজ হন বলে জানান তিনি।
এসআই মোশারফ জানান, শ্যামল ঢাকার মুগদা এলাকায় বসবাসকারী মো. সামছুল হকের ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
শ্যামলের সন্ধানে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের কানুদী ঘাটে আসা ফুফাত ভাই আবুল কাশেম জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সজিব ও সুজনের সঙ্গে শ্যামল তাদের দাদার বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন।
শ্যামলের লাশ তার বাবা ঢাকায় নিয়ে গেছেন। সেখানেই দাফন করা হবে বলে জানান কাশেম।