সোমবার সকালে দেবীগঞ্জ উপজেলা ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে এই পাস দেওয়া শুরু হয় বলে জানান পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ গোলাম আযম।
কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ।
হাইকমিশনার বলেন, “দীর্ঘদিনের ছিটমহল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আরও বেশি সুসম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এ সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে দুই দেশ আরও এগিয়ে যাবে।”
এ সময় সেখানে বাংলাদেশে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সন্দ্বীপ মিত্র, হাইকমিশন অফিসের ফার্স্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্ত, স্থানীয় ইউএনও সফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে দুই দেশের ছিটমহল বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। দুই দেশের চুক্তি ও প্রটোকল অনুযায়ী, ছিটমহলবাসী নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী নাগরিকত্ব বেছে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পছন্দের দেশে যাওয়ার সময় টাকা-পয়সাসহ অস্থাবর সম্পত্তি সঙ্গে নেওয়া যাবে। আর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে পছন্দের দেশের মূল ভূখণ্ডে যেতে হবে।
কোনো ব্যক্তি যদি ৩০ নভেম্বরের আগে স্থাবর সম্পত্তি রেখে ভারতে বা বাংলাদেশে যেতে চাইলে সম্পত্তির দলিলের কপি (যদি থাকে) স্থানীয় জেলা প্রশাসনের হেফাজতে রাখতে পারবেন; পরে সম্পত্তি বিক্রির সময় জেলা প্রশাসনের সহায়তা পাবেন তারা।
চুক্তি কার্যকরের মধ্য দিয়ে ভারতের ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের এবং বাংলাদেশের ৫১টি ভারতের ভূখণ্ডের অংশ হয়ে যায়।