স্থানীয়রা ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে মীমাংসার চেষ্টা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পলাশ থানার ওসি আবুল কালাম জানান, মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
“এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।”
ওসি জানান, সোমবার রাতে আট জনের নাম উল্লেখসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভিরিন্দা গ্রামের এক গৃহবধূ (১৮) রিকশায় ঘোড়াশাল বোনের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে রিকশা চালক জাহাঙ্গীর মোবাইলে ফোন করে ১০ সহযোগীকে ডেকে আনে।
রিকশাটি গ্রামের একটি জঙ্গলের কাছে পৌঁছলে জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা রিকশাসহ গৃহবধূকে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ এবং মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ধারণ করে।
ওসি আবুল কালাম বলেন, “পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইকবাল মোল্লা, জালাল উদ্দিন ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন স্থানীয় বাজারে সালিশ বৈঠকে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন।”
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে রোববার রাতে পুলিশ তাহের ও হামিদ জনকে আটক করেছে। তারা পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ইকবাল মোল্লা ও আরিফুল ইসলাম জানান, তারা মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।