শুক্রবার জুমার নামাজের পর মনপুরার চৌমুহনী বাজারে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষের এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
পরে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই যুবক স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে মাছের ব্যবসা করেন। তিনি রামনেওয়াজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বৃহস্পতিবার ওই যুবকের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে’ একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
“এর জের ধরে আজ জুমার নামাজের পর উপজেলার রামনেওয়াজ জামে মসজিদ, কাউয়ারটেক কিল্লার পাড় জামে মসজিদ ও চৌমুহনী জামে মসজিদের মানুষ মিছিল করে রামনেওয়াজ চৌমুহনী বাজারে জমায়েত হয়।
পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস ও রামনেওয়াজ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমানত উল্লা আলমগীর ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে জহির, সাইফুল, করিম, আল আমিন, রাহাত ও ছোট করিমের নাম জানা গেছে। তারা সবাই উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে ওসি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, “ফেইসবুকে মন্তব্য করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনপুরায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। জুমার নামাজের পর চারিদিক থেকে মিছিল করে এসে মানুষ উত্তেজিত হয়ে প্রতিবাদ করে। কিছু উশৃঙ্খল মানুষ পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করে। সবাইকে সাথে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।”
ওইদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে এক মাদ্রাসাছাত্রসহ আন্তত চারজন নিহত হন, আহত হন ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক।
আরও খবর