এ আয়োজন করে ‘ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ (ইউএসবিসিসিআই)’।
Published : 21 May 2024, 07:46 PM
মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে সুদের হার বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প ও মাঝারি আয়ের প্রবাসীরা বাড়ি কিনতে যখন নানামুখী সংশয় আর দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন, সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হলো ‘রিয়েল এস্টেট এক্সপো’।
শনিবার নিউ ইয়র্কে লাগোয়ার্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলের বলরুমে এ আয়োজন করে ‘ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’ (ইউএসবিসিসিআই)’। এতে দেশটির আবাসন সেক্টরের ৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
১ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে এবং কোন ধরনের ব্যাংকিং স্টেটমেন্ট ছাড়াও তুলনামূলক কম সুদে বাড়ি কিনতে ঋণ মিলছে- এমন তথ্য ছাড়াও ইসলামিক রীতি অনুযায়ী বাড়ি কিনতে ঋণ নেওয়ার নানা উপায় আলোচিত হয় দিনব্যাপী ৬টি সেমিনারে।
সেমিনারে কথা বলেন আবাসন খাতের আইনজীবী, আবাসন ব্যবসায়ী, বাড়ি কিনতে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং নিউ ইয়র্কের হাউজিং ও বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা।
বাড়ি কেনার পর সেই বাড়ির সীমানায় কেউ দুর্ঘটনায় পড়লে আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে চলমান মামলা-মোকদ্দমা ঠেকানো নিয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দেওয়া হয় এ মেলায়। অভিবাসীদের মধ্যে যারা প্রথমবারের মতো বাড়ির মালিক হতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধার তথ্যও এসময় জানানো হয়।
মেলার উদ্বোধনী সমাবেশে নিউ ইয়র্কের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর বাশার বলেন, “প্রথমবার বাড়ি কিনতে আগ্রহীদের জন্য আজকের এ এক্সপোর ভূমিকা অপরিসীম। আবাসন খাতের অভিজ্ঞরা এই এক্সপোর বিভিন্ন পর্বে পরামর্শ দিচ্ছেন বাস্তবতার আলোকে।”
মেলার অন্যতম সহযোগী ‘কুইন্স চেম্বার অব কমার্সের’ প্রেসিডেন্ট ও কার্যনির্বাহী থমাস জে গ্রিস বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজার কাউন্টির মধ্যে এই কুইন্স হচ্ছে সবচেয়ে ডাইভার্স, সবচেয়ে কর্মমুখী এবং অভিবাসীবান্ধব। আজকের এই জমজমাট এক্সপোর মধ্য দিয়েও তা দৃশ্যমান হলো।”
আয়োজক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট এবং কার্যনির্বাহী লিটন আহমেদ বলেন, “কমিউনিটিতে নানামুখী শঠতা চলছে বাড়ি কেনা-বেচায়। ঋণ মঞ্জুরিতেও রয়েছে ছলচাতুরি। সেসব ব্যাপারে প্রবাসীদের সুস্পষ্ট তথ্য জানাতে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হলো।”
নিউ ইয়র্ক সিটির বিল্ডিং বিভাগের সহকারী কমিশনার জেমেল ইসিডোর এসকিউ বলেন, “নিজ ভবনের অপব্যবহার কিংবা অন্য কোন ইস্যুতে অযথা সন্ত্রস্ত থাকার প্রয়োজন নেই। আমরা সবসময় বাড়ির মালিকের স্বার্থ সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর।”
মেলার উদ্বোধনী পর্ব সঞ্চালনা করেন আয়োজক সংস্থা ‘ইউএসবিসিসিআই’র পরিচালক শেখ ফরহাদ। মেলার মূল আর্থিক সহযোগী ছিলেন আবাসন ব্যবসায়ী নূরুল আজিম।
মেলায় ‘শীর্ষ ১০০ বাংলাদেশি-আমেরিকান রিয়েল্টর’ স্বীকৃতি পর্বে ১১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। স্বীকৃতিপ্রাপ্তরা হলেন- জামান মজুমদার, মর্তোজা কে সিদ্দিকী, জাহেদ হোসেন, নাজনীন মির্জা, সাব্বির আহমেদ, এমরান ভূঁইয়া, আদান ইসলাম, রেজ্জী চৌধুরী, নাফিজ রহমান, দেলোয়ার খান এবং নাদির এ খান।
এ পর্ব সঞ্চালনায় ছিলেন মেলার চেয়ারপারসন ইসমাইল আহমেদ। সম্মাননা দেওয়ায় আবাসন খাতে অংশগ্রহণকারীরা উৎসাহিত হবেন বলে দাবি করেন ইউএসবিসিসিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী লিটন আহমেদ।
মেলার সমাপনী বক্তব্য দেন ইসমাইল আহমেদ। এসময় আয়োজক সংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মিলি ভূইয়া, রফিক খান ও বদরুদ্দোজা সাগর।