কানাডা ডে উপলক্ষে গত বুধবার টরন্টোর কানন গার্ডিয়ান ফার্মেসি আয়োজিত ‘কানাডা ডে শিশু কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’র উদ্ধোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জন ম্যাককে বলেন, বহুজাতিক সংস্কৃতি তথা অভিবাসী সংস্কৃতিতে একাত্ম হওয়াটা যে কোনো কমিউনিটির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশি কমিউনিটি মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন না থেকে একাত্ম হয়েছে এবং সেটি বিস্তৃতিরও উদ্যোগ নিয়েছে।
কমিউনিটির এই প্রবণতাকে স্বাগত জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন কানন গার্ডিয়ান ফার্মেসির কর্ণধার কানন বড়ুয়া। সনৎ বড়ুয়া এই পর্বের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
‘কানাডা ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোরদের এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বয়স অনুপাতে তিন গ্রুপে ভাগ করে ‘কানাডার ঋতু’র উপর তাৎক্ষণিক চিত্র অংকন করতে দেওয়া হয় প্রতিযোগীদের।
বিভিন্ন কমিউনিটি থেকে অর্ধশতাধিক শিশু কিশোর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী নুর জালালী এবং তামিম বিচারক হিসেবে সেরা আঁকিয়েদের বাছাই করেন।
সম্মিলিত গ্রুপের মধ্যে সেরা চিত্রকর্মের জন্য পুরষ্কার পায় শিপ্রা। এছাড়াও ‘এ’ গ্রুপে সেরা তিনজন আঁকিয়ে হলেন- শিপ্রা, অলিভিয়া ও প্রপা। ‘বি’ গ্রুপে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে অরুনিমা চক্রবর্তী, মাসুদা জেবিন রায়না, ক্যাথরিন পামার। ‘সি গ্রুপে’ বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে অভিয়া সুবাসানথিয়ার, আখিয়া দেবনাথ, মিফতাউল জান্নাত।
বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দিতে গিয়ে টরন্টো পুলিশের সাবেক প্রধান বিল ব্লেয়ার বলেন, শিশু কিশারদের আঁকা চিত্রকর্মগুলো দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন।
বিপুল সংখ্যক প্রতিভাবান ভবিষ্যৎ চিত্রশিল্পীর সমাবেশ থেকে সেরাদের বাছাই করা রীতিমতো একটি দুরূহ কাজ হিসেবে মন্তব্য করে অংশগ্রহণকারী সব শিশু-কিশোর আঁকিয়েদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত স্কারবোরো সাউথওয়েস্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে ফেডারেল নির্বাচনে লিবারেল পার্টির মনোনীত এমপি প্রার্থী বিল ব্লেয়ার বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করেন।
“তাদের সঙ্গে আমার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটির যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াব।”
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কানন বড়ুয়া বলেন, কানাডার মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটির যোগসূত্রকে আরও নিবিড় করার অভিপ্রায় নিয়েই তিনি এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন।
আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা এখন থেকে সরাসরি আমাদেরকে জানাতে পারেন। পুরো নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় probash@bdnews24.com