ভ্রমণ কাহিনি: তুষার দেখতে লুশান পাহাড়ে

হঠাৎ ওয়েনগ হুং লাওশির (চীনে শিক্ষকদের লাওশি বলে ডাকে) ফোন কল, ‘উডি (আমার চীনা নাম) আমরা লুশান পাহাড়ে যাচ্ছি তুষারপাত দেখতে, তুমি যাবে নাকি আমাদের সঙ্গে? আমি উত্তর দিলাম, ‘সত্যি লাওশি! আপনার কখন, কখন, কীভাবে যাবেন?’

ছাইয়েদুল ইসলাম, চীন প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2022, 02:30 PM
Updated : 12 Jan 2022, 02:30 PM

লাওশি বললো, ২৫ ডিসেম্বর শনিবার ছুটির দিনে আমরা যাচ্ছি, সঙ্গে আরও অনেক চীনা লোকজন যাবে। তুমি গেলে আমি তোমার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে রাখবো। আমি লাওশিকে বললাম, ‘আমি যাব।’

চীনে এখন চলছে পুরোদমে শীতকাল। আমি থাকি চীনের চিয়াংশি প্রদেশের রাজধানী নানছাং শহরে। এখন এই শহরের তাপমাত্রা এক থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা-নামা করে। কখনও কখনও তাপমাত্রা মাইনাস ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। গত বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী শীতকালে দুই-তিনবার তুষারপাত হয় এ শহরে। তাই নরম পালকের মতো ধবধবে সাদা তুষারে আচ্ছন্ন লুশান পাহাড় দেখার সুযোগটি হারাতে চাইলাম না।

দুইদিন পর লাওশি আমাকে আবার ফোন নম্বারে কল দিলেন এবং ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য দিলেন। জানালেন, ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি ভ্রমণকারী দল বড় বাসে করে লুশান পাহাড়ে যাবে। একমাত্র আমি বাদে ভ্রমণকারী দলের সব সদস্য চীনের নাগরিক। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে, ২৫ ডিসেম্বর থেকে তুষারপাত শুরু হবে। তাই তারিখ ২৫ ডিসেম্বর পরিবর্তন করে ২৬ ডিসেম্বর রোববার করা হয়েছে, যাতে করে বেশি পরিমাণ তুষারপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

ওইদিন ভ্রমণকারী দল হাইকিং করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠার মধ্য দিয়ে তুষারপাতের সৌন্দর্য উপভোগ করবে। নানছাং শহর থেকে লুশান পাহাড়ে শীতের তীব্রতা বেশি, তাই আমাকে দুই জোড়া জুতো, দুই জোড়া মোটা পায়ের মোজা, মোটা হাত মোজা, কান টুপি, ভারি শীতের কাপড়, গরম পানি, সেদ্ধ ডিম ও খাবার, ছাতা ও রেইনকোট, হাইকিং স্টিক-সহ অন্যান্য দরকারি জিনিস সঙ্গে নিতে বললেন।

তুষারে জমা বরফ হাতে তুলে নিয়ে দেখি তুলোর মতো নরম

লাওশি আমাদের সঙ্গে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যাচ্ছেন না। কারণ, ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর পোস্ট গ্রাজুয়েট এন্ট্রান্স এক্সামে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পোস্ট গ্রাজুয়েট এন্ট্রান্স এক্সাম চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। লাওশি আমাদের সঙ্গে না গেলেও তার স্বামী যাচ্ছেন।

যেহেতু ভ্রমণকারী দলের সব সদস্য চীনের নাগরিক, তাই আমি লাওশিকে জিজ্ঞেস করলাম আমি আমার কোন বন্ধুকে সঙ্গে নিতে পারি কিনা। যদিও আমি টুকটাক চাইনিজ পারি, কিন্তু একজন পরিচিত কেউ সঙ্গে থাকলে দিনটা আরও আনন্দময় হবে। তিনি আমাকে জানালেন একজনকে সঙ্গে নেওয়া যাবে। আর ২৬ ডিসেম্বর ভোর ছয়টায় লাওশির স্বামী আমাদের ডরমিটরি থেকে পিক করবে। আমি যেন তৈরি থাকি।

নানছাং ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পড়াশোনারত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রুমীকে ফোনে জানালাম লুশান পাহাড়ে তুষারপাত দেখতে যাওয়ার কথা এবং ভ্রমণের সফরসঙ্গী হওয়ার জন্য বললাম। রোববার হওয়ায় তার কোন ক্লাস পরীক্ষা ছিল না, সে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করলো। আমি তাকে ২৫ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় আমার ডরমিটরিতে চলে আসতে বলি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে বলি।

লুশান পাহাড়টি দক্ষিণ-পূর্ব চীনের চিয়াংশি প্রদেশের চিউচিয়াং শহরে অবস্থিত। চীনের সবচেয়ে পরিচিত পর্বতগুলোর মধ্যে একটি। ওভাল আকৃতির পর্বতগুলো প্রায় ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত। ১৯৯৬ সালে লুশান পর্বতটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। মাউন্ট লু একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য এবং অনেক দর্শনীয় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। যেমন গিরিখাত, গ্রোটো, রক আউটক্রপিংস, পর্বত প্রবাহ, জলপ্রপাত ইত্যাদি।

লুশান পর্বতের সর্বোচ্চ চূড়া দহানইয়াং পিক, যার উচ্চতা ১ হাজার ৪৭৪ মিটার। প্রাচীনকালে ১৭১-এরও বেশি চূড়ার নামকরণ করা হয়েছিল। এই পর্বতে জৈবিক সম্পদ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। লুশান পর্বতে বনাঞ্চলের পরিমাণ ৭৬.৬% পৌঁছেছে। এছাড়া ৩ হাজারেরও বেশি ধরণের পুরনো গাছপালা, প্রায় ২ হাজার প্রজাতির পোকামাকড়, ১৭০ জাতের পাখি, পাশাপাশি ৩৭ ধরণের জীব-জন্তু রয়েছে। বৌদ্ধধর্ম, তাওবাদ এবং কনফুসিয়ানিজমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান লুশান পাহাড়, প্রার্থনা করার জন্য রয়েছে অনেক মন্দির।

লুশান পাহাড়ে আমি আগেও গিয়েছিলাম। তবে তুষার দেখতে এই প্রথম যাচ্ছি। তাও আবার হাইকিং করে দীর্ঘ পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে। চীনে আমি অনেক পাহাড়ে হাইকিং করেছি, তবে বরফ আচ্ছন্ন পথ পাড়ি দিয়ে হাইকিং করাটা আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। এদিকে রুমী ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আমার ডরমিটরিতে চলে এসেছে। আমি সন্ধ্যায় লাওশির কথা অনুযায়ী ট্রাভেল ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছি। আর রুমীকে ওর থাকার রুম দেখিয়ে সকাল সকাল উঠতে বলি। আমি নিজেও মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখলাম। রুমীকে বলে রাখলাম সকালে উঠতে দেরি হলে আমাকে যেন ডেকে দেয় অথবা ফোনে কল দেয়।

সেদিন রাতে দেরিতে ঘুমিয়েছি, ভোর সাড়ে পাঁচটায় অ্যালার্মের শব্দ শুনে ঘুম ভাঙছে। একটু পরই রুমীর ফোন কল, ভাই ঘুম ভাঙছে নাকি! আমি বললাম রেডি হয়ে আসছি, তুমি সবকিছু নিয়ে রেডি থাক। আমি যখন রেডি হয়ে নিচে নামবো ওইসময় লাওশি কল দিয়ে বললো, উডি আমার হাজব্যান্ড তোমার ডরমিটরির সামনে তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তখন বাজে ভোর ছয়টা। আমি লাওশিকে বললাম, আমরা দ্রুত বের হচ্ছি। ডরমিটরি থেকে রুমীকে নিয়ে দ্রুত বের হয়ে অপেক্ষারত লাওশির স্বামীর সঙ্গে দেখা করলাম, হাসি মুখে বললাম, zǎoshang hǎo lǎoshi (শুভ সকাল লাওশি)। বাইরে প্রচণ্ড শীত, আমরা দ্রুত গাড়িতে উঠে বসলাম। লাওশির হাজব্যান্ড বললো, xiànzài wǒmen zǒule (এখন আমরা যেতে পারি)। আমি বললাম, hǎo ba lǎoshi (আচ্ছা, ঠিক আছে লাওশি)।

আসলে আমরা নানছাং শহরের একটি নিদিষ্ট জায়গায় যাচ্ছিলাম, যেখানে ভ্রমণকারী দলের সব সদস্য একত্রিত হবে, তারপর আমরা বড় বাসে করে লুশান পাহাড়ে যাব। প্রায় ২০ মিনিট পর সকাল ছয়টা চল্লিশ মিনিটে আমরা ওই জায়গায় পৌঁছাই। লাওশির স্বামীকে জিজ্ঞেস করলাম, সকালের নাস্তা খেয়েছে কিনা। তিনি বললেন খেয়েছেন। রুমী বললো, ভাই আমার কিছু খেতে হবে, ক্ষুধা লেগেছে। বললাম, হাতে ২০ মিনিট সময় আছে, কিছু খেয়ে নিতে পার। কারণ আমাদের বাস ঠিক সকাল সাতটায় লুশানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। আমার সকালের খাবারের প্রতি আগ্রহ কম। তাই আর কিছু খেলাম না।

সাতটার মধ্যে আমাদের বাস ও চীনা লোকজন উপস্থিত। সবাই বাসে উঠতে লাগলো। আমি, রুমী আর লাওশির স্বামী সবার পরে উঠলাম এবং বসলামও সবার পেছনের সিটে। বাসে উঠার সময় চীনারা অনেকটা একসঙ্গে বললো, wàiguó rén, wàiguó rén (মানে বিদেশি, বিদেশি)। কারণ বাসে আমি ও রুমী ছাড়া সবাই চীনা। আমি মজা করে উত্তর দিলাম, bùshì, xiànzài wǒmen shì zhōngguó rén (আরে বিদেশি না, আমরা এখন চীনা)। এটা শুনে তারা হো হো করে হেসে ফেললো।

নানছাং থেকে লুশান পর্বতে যেতে ২ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে। রাতে আমি কেবল ৪ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি, রুমীকে বললাম বাসে আমি একটু ঘুমিয়ে নিই। কারণ আজ অনেক হাঁটতে হবে। রুমী একই কথা বললো, সেও রাতে কম ঘুমিয়েছে, তারও বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে বাস চলছে, আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম। প্রায় সকাল সাড়ে নয়টায় আমরা লুশানের শিয়াও থিয়ানছি নামক স্থানে পৌঁছাই, যেখান থেকে আমাদের হাইকিং শুরু হবে। আমরা সবাই বাস থেকে নেমে হাইকিং-এর প্রস্তুতি নিয়ে তুষার দেখার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম।

প্রায় ৫০ জনের একটি গ্রুপের সঙ্গে প্রচণ্ড উৎসাহ নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। বরফের সৌন্দর্য দেখতে হলে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে হবে। লাওশির হাজব্যান্ড আমাদের বললো আমরা যেন তাকে অনুসরণ করি। তীব্র শীত আর ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে আমরা হেঁটে চলছি। প্রায় তিশ মিনিট হাঁটার পর আমি ঘামতে শুরু করলাম। আর মনে হচ্ছিলো আমার পা আর সামনে যাচ্ছে না। লাওশির হাজব্যান্ডের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করলাম পাহাড়ে চূড়ায় উঠতে কেমন সময় লাগতে পারে। তিনি বললেন, আমাদের তিন ঘণ্টার বেশি সময় হাঁটতে হবে। আমরা যে পথ ধরে চলছি এটা মানবসৃষ্ট, মানুষ পাহাড়ে হাইকিং করার ফলে এ পথের সৃষ্টি হয়েছে। ঝোপ-ঝাড়ের মধ্য দিয়ে সরু রাস্তা দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে।

আমি হাইকিং স্টিকে ভর করে আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠতে থাকলাম। কিছুক্ষণ হাঁটার পর আবার কিছুক্ষণ যাত্রা বিরতি দিই দম নেওয়া জন্য। সরু রাস্তায় বরফ পড়ার কারণে পিচ্ছিল। তাই হাঁটার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সর্তক থাকতে হয়। একবার স্লিপ কাটলে নিশ্চিত বড় রকমের দুর্ঘটনায় পড়তে হবে। আমার বেশ কয়েকবার পড়ে যাওয়া উপক্রম হয়েছিল। তাছাড়া রাস্তায় ছোট বড় পাথর এবং ভাঙা গাছ পড়ে রয়েছে। এগুলো ডিঙ্গিয়ে উপরে উঠতে হচ্ছিল। অবশ্য একটু ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাতে উপরে উঠতে একে অপরকে সাহায্য করেছে।

আমাদের টিমের চীনারা কোন রকম ক্লান্তি ছাড়াই পাহাড়ে হাইকিং করে যাচ্ছে। টিমে শিশু, যুবক-যুবতী, বৃ্দ্ধ নারী পুরুষ রয়েছে। সবাই উৎফুল্ল, হেঁটে চলছে, অনেকে আবার গান গাচ্ছে, কেউবা আবার সাউন্ড বক্সে গান শুনতে শুনতে হেঁটে চলছে। আমি ঘণ্টা দুয়েক হাঁটার পর আর পারছিলাম না, এদিকে রুমীর অবস্থাও একই। লাওশির হাজব্যান্ড আমার অবস্থা দেখে আমার ব্যাকপ্যাক উনি নিয়ে নিলেন। লাওশির হাজব্যান্ড হাইকিং-এ দক্ষ, ক্লান্তি বলতে কিছু নেই তার কাছে। তাছাড়া চীনারা সকাল-সন্ধ্যা শারীরিক ব্যায়াম করে এবং স্থানীয়রা নিয়মিত ছুটির দিনে হাইকিং-এ বের হয়।। অন্যান্য চীনারা আমাদের উৎসাহ দিল এবং চিৎকার করে বললো, Jiāyóu Jiāyóu (কাম অন, কাম অন)।

প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা হাঁটার পর অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো, আমি এখন পাহাড়ের চূড়ায়। কী অপরূপ! পাহাড়টি অন্যরকম এক সৌন্দর্যে সেজেছে। দেখতে সাদা স্নিগ্ধ কাশফুলের বাগানের মতো। যখন বাংলাদেশে ছিলাম তখন তুষারপাত দেখব, তাও আবার নিজের চোখে দেখব, হাত দিয়ে স্পর্শ করব! তুষার নিয়ে খেলা করব! এসবই ছিল কল্পনার বাইরে। কিন্তু মানুষ মাঝে মাঝে কল্পনাকেও হার মানায়। তুষারে জমা বরফ হাতে তুলে নিয়ে দেখি তুলোর মতো নরম। হাতবন্দি করতে চাইলেও করা যায় না, নিমিশেই হারিয়ে গেলো। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও বরফ ধরতে খুব ভালো লাগছিল। আর স্মৃতিগুলো বন্দি করছি ক্যামেরায়। পাহাড়ের গাছেরাও তুষারকে আলিঙ্গন করে নিয়েছে। তুষারের ভারে নুয়ে পড়ে মগডাল, পাতারাও ঝুলে আছে দোলনার মতো।

ধবধবে সাদা পাহাড়ে অন্যরকম একটি দিন কাটালাম। আসলে মানুষ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যায়। প্রকৃতি সব সময় সুন্দর। তবে দেশ ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি তার রূপ বদলায়।

লেখক: চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক্সের ডক্টরাল ফেলো

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!