রোববার তাকে স্বাগত জানাতে জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জড়ো হন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ নেতা-কর্মী।
এ সময় স্লোগান দিয়ে তারা সরকারের বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরেন। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিমানবন্দরের প্রায় পুরো এলাকা প্রবাসী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পদচারণায় মুখর ছিল।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে এসেছিলেন বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে।
বিমানবন্দরে নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রহরার মধ্যে এই স্বাগত সমাবেশ হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা তাতে অংশ নিলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
রোববার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
এরপর প্রধানমন্ত্রী সরাসরি চলে যান জাতিসংঘ সংলগ্ন ম্যানহটনের লোটে প্যালেস হোটেলে। সেখানেই তিনি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়েরও ভার্জিনিয়া থেকে নিউ ইয়র্কে আসার কথা রয়েছে।
এবার জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিশ্ব সংস্থায় তার অষ্টাদশতম ভাষণ দেবেন। এবারও তিনি যথারীতি বাংলাতেই ভাষণ দেবেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গতবছর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন বসেছিল ভার্চুয়ালি। এ বছর সশরীরে সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে মিলিত হচ্ছেন বিশ্ব নেতারা।
জেএফকে বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ব্যানারে বীর মুক্তিযোদ্ধারা, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ব্যানারে বিশিষ্টজনেরা এবং ‘সন্দ্বীপ নদী সিকস্তি পুনর্বাসন সমিতি’র প্রবাসীরাও ছিলেন।
এসেছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও। মিশিগান, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ জার্সি, কানেটিকাট, বস্টন থেকেও প্রবাসীর এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে।