প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্বের শিকার বিশ্বের ১১০ কোটি মানুষকে ২০৩০ সালের মধ্যে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ করে দেওয়ার অঙ্গিকারে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহিত হয়েছে ‘সকলের জন্য দৃষ্টি: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ ত্বরান্বিত করার পদক্ষেপ’ শীর্ষক রেজুলেশন।
Published : 24 Jul 2021, 10:36 AM
শুক্রবার (২৩ জুলাই) ‘ফ্রেন্ডস অব ভিশন’ এর পক্ষে সাধারণ পরিষদে তা উত্থাপন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নিরাময়ে সর্বসম্মতভাবে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাল।
বিভিন্ন পর্যায়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীতার শিকার বিশ্বের ২০০ কোটির বেশি মানুষের চক্ষু স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে ব্যাপকভিত্তিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে জাতিসংঘে অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছে ‘ফ্রেন্ডস অব ভিশন’।
সাধারণ পরিষদে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা রেজুলেশনটিকে বিশ্বের সকল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য উৎসর্গ করে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান যাতে দেশগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের জনগণকে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবায় পূর্ণ প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে।
তিনি বলেন, প্রতি“রোধযোগ্য দৃষ্টিহীনতা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, যার জন্য প্রয়োজন একটি বৈশ্বিক সমাধান। এজন্যই আমরা আজ ঐক্যমতে পৌঁছুতে পেরেছি। আমাদের এই ঐক্যমত বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ, তাদের পরিবার ও সম্প্রদায়ের জীবন ধারায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে আমার বিশ্বাস।”
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, “বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ তাদের দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে। এর ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সব মানুষ তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা ব্যবহার করতে পারছে না। রেজুলেশনটি এই অবস্থা পাল্টাতে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।”
রেজুলেশনটিতে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবাকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জাতীয় প্রতিশ্রুতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ও দাতাদের লক্ষ্যভিত্তিক অর্থায়ন, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব মোকাবেলায় সহযোগিতা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ যাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মাধ্যমে চক্ষু স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি তাদের কাজে যুক্ত করে নেয় সে অনুরোধও জানানো হয়েছে এতে। এছাড়া জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট এবং এ সংক্রান্ত পরবর্তী পর্যালোচনায় চক্ষু সেবার জন্য নতুন একটি লক্ষ্য অন্তর্ভুক্ত করারও আহ্বান জানানো হয়েছে রেজুলেশনটিতে।
যথাযথ চক্ষু স্বাস্থ্য সেবায় প্রবেশাধিকার নেই এমন মানুষের প্রায় ৯০ ভাগ বাস করে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।
২০১৮ সালের এক হিসাবে, বাংলাদেশে ৩০ ও তদুর্ধ্ব বয়সের অন্ধ মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার এবং ৬০ লাখেরও বেশি মানুষের চশমা পরিধান বা অন্য কোনো উপায়ে দৃষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন হয়।
১৯৯৯ সালে গৃহীত ‘ভিশন-২০২০’ শীর্ষক বৈশ্বিক পদক্ষেপ স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |