এ যেন হাজারও দুঃখ ও ব্যস্ততা ভুলে ক্ষণিকের আনন্দ খোঁজা, তবে সেটা প্রকৃতির কাছে। প্রকৃতির দেওয়া নির্মল সে আনন্দ ক্ষণকালের জন্য সব অপ্রাপ্তি যেন মিটিয়ে দিয়েছে। চমৎকার, নৈসর্গিক ও শৈল্পিক সৌন্দর্য যা কল্পনাকেও হার মানায়। এর মাঝে অনুকূল আবহাওয়া সহায় হওয়ায় আনন্দের কোন ঘাটতি হয়নি।
দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ ও বিশাল স্বচ্ছ নীল জলরাশি যেন সৌন্দর্য সৃষ্টিতে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। সত্যি দেখার মতো ‘আইল অব ওয়াইট’। এটি ইংলিশ চ্যানেল ও হ্যাম্পশায়ারের উপকূলে দুই থেকে পাঁচ মাইলের মধ্যে, সেখান থেকে এটি সোলেন্ট দিয়ে আলাদা করা হয়েছে।
এ দ্বীপে এমন রিসোর্ট রয়েছে যা রানী ভিক্টোরিয়ার সময় থেকেই ছুটি কাটানোর গন্তব্য ছিল। এটি হালকা আবহাওয়া, উপকূলীয় দৃশ্য, মাঠ, নিম্নভূমি এবং চেইনগুলোর মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। দ্বীপটি হ্যাম্পশায়ারের ঐতিহাসিক কাউন্টির অংশ। এটি ইউনেস্কোর বায়োস্পিয়ার রিজার্ভ হিসেবে মনোনীত।
এমনকি সমুদ্রপাড়ে রয়েছে ছোট বাচ্চাদের জন্য বিনোদনের নানা উপকরণ। কচিকাঁচাদের আনন্দের লাফালাফিতেই চোখ আটকে যায়। পাশেই স্বচ্ছ নীল জলরাশির বিশাল সমুদ্র। অথচ স্বাভাবিক প্রকৃতির কোন রকম ব্যাঘাত না ঘটিয়ে সবকিছুই যেন নিজের মতো করে প্রযুক্তি দিয়ে প্রাকৃতিক করে সাজিয়ে নিয়েছে। অবশ্য ইউরোপের যেখানে গিয়েছি এ রূপই দেখেছি। পাহাড়, পর্বত, প্রকৃতি যেখানে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থানে রেখে বসবাসযোগ্য করে তোলা হয়েছে।
অবশ্য এখানে নির্মল প্রকৃতির বাড়তি সুবিধা। এসব দেখলে অবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কীভাবে তারা এমনটি করতে পেরেছে! ইউরোপে যা দেখি তাতেই অবাক হই। আসলে দেশপ্রেম, সততা, নিষ্ঠা-আন্তরিকতা আর পরিকল্পিত পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই ।
সবার পরিচিতি পর্ব শেষে গান, গল্প, কৌতুক, কবিতা, চুটকি, আঞ্চলিক গান, কৃষ্টি-কালচার উপস্থাপনে মাতিয়ে রাখা হয়। তাদের সেসব পরিবেশনায় প্রতীয়মান হয়েছে – সবার মধ্যেই সৃষ্টিকর্তা কিছু প্রতিভা দিয়েছেন। আর যারা মাইক্রোফোন ধরেননি; তারা সঙ্গ দিয়ে পুরো ভ্রমণকে প্রাণবন্ত রেখেছেন।
সমুদ্রের নীল জলরাশির উদাত্ত হাতছানি কার সাধ্য এড়িয়ে যাওয়া! তীরে এসে বাস থামতেই সবাই নেমে পড়ে। লাফালাফি, সাঁতার কাটা, ফুটবল নিয়ে মাতামাতি, সেলফি, ফটোশেসন আর চলে লম্ফঝম্ফ। এর মাঝে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সমুদ্রের জোয়ারভাটা। ফলে আমরা যেখানে লাফালাফি, দাপাদাপি করেছি কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে বিশাল মরুভূমি! ধূ ধূ বালুচর! প্রকৃতির মাধ্যমে স্রষ্টার লীলাখেলা সত্যি অবাক করে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |