ভ্রমণ কাহিনি: ব্লু মাউন্টেইন সিনিক ওয়ার্ল্ড

সিডনির একদিকে যেমন রয়েছে অবারিত সমুদ্রের নীল জলরাশির হাতছানি অন্যদিকে রয়েছে আপন করে নেওয়া পাহাড়ের কোল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় প্রকৃতি যেন স্বস্নেহে সিডনিকে আগলে রেখেছে।

মো. ইয়াকুব আলী, সিডনি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2021, 04:20 AM
Updated : 28 May 2021, 04:20 AM

সমুদ্রে অহরহ যাওয়া হয়, কিন্তু পাহাড়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে হয়, পাশাপাশি থাকতে হয় শারীরিক প্রস্তুতি। আমরা অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম ব্লু মাউন্টেইন বেড়াতে যাবো। ব্লু মাউন্টেইনের থ্রি সিস্টার্স পর্বতমালা পৃথিবী বিখ্যাত। থ্রি সিস্টার্স নিয়ে অনেক শ্রুতি চালু আছে, তার মধ্যে একটা এমন-

কাটুম্বা ট্রাইবের মিহনি, উইমলা এবং গুনেদা নাম তিন বোন বাস করতো ব্লু মাউন্টেনের জেমিসন উপত্যকায়। তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে যায় নেপিয়ান ট্রাইবের তিন ভাইয়ের সঙ্গে। কিন্তু ট্রাইবের আইন অনুযায়ী তারা বিয়ে করতে পারবেন না, তাই তিন ভাই যুদ্ধ করে তিন বোনকে জয় করার সিদ্ধান্ত নেন। তিন বোনের বিপদ দেখে একজন জাদুকর তার জাদুশক্তি বলে তিন বোনকে পর্বতে পরিণত করেন যাতে যুদ্ধ শেষ হলে তাদেরকে আবার মানুষে রূপান্তর করবেন।

কিন্তু যুদ্ধে তিনি মারা গেলে তিন বোন আর মানুষে রূপান্তর হতে পারেননি এবং যুগ যুগ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন প্রকৃতির বিস্ময় হয়ে। তিন বোনের পাশেই আছে আরও একটা ক্ষুদ্র পর্বত। স্থানীয়রা এটার নাম দিয়েছেন ‘ছোট ভাই কেভিন’। আমাদের বাসা ক্যাম্বেলটাউন এরিয়া থেকে ব্লু মাউন্টেইনের দূরত্ব মাত্র এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিটের ড্রাইভ, তবে সিডনি থেকে যেতে সময় লাগবে পৌনে দুই ঘণ্টা। আর যদি আপনি ট্রেনে করে যান তাহলে সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টা। এটা দীর্ঘ যাত্রা মনে হলেও আপনি যখন ওখানে পৌঁছাবেন তখন এই ক্লান্তি উবে যেয়ে শরীরে এক ধরণের প্রশান্তি বিরাজ করবে। নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন সবুজ আর নীলের মিতালিতে।

আমরা খুব ভোরবেলায় রওয়ানা দিয়ে দিলাম। যাওয়ার রাস্তা মোটামুটি সোজা। এম৭ হাইওয়ের পর এম৪ হাইওয়ে হয়ে এরপর একটানা এ৩২ রাস্তা। মাঝে আমরা একটা পেট্রল পাম্পে বিরতি নিয়ে গড়িয়ে তেল নিয়ে নিলাম, পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য চিকেন স্যান্ডউইচ এবং নিজের জন্য কফি। সিনিক ওয়ার্ল্ডে পর্যাপ্ত ফ্রি কার পার্কিং আছে। গাড়ি পার্ক করে আমরা এন্ট্রিতে পৌঁছে সেখানে দাঁড়ানো সিনিক ওয়ার্ল্ডের একজন মানুষের কাছ থেকে টিকেট বিষয়ে একটা ধারণা নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম।

পুরোনো কয়লাখনির আদলে তৈরি কাটুম্বা খনি অফিস

টিকেটের প্রক্রিয়া শেষ করতে সামান্য সময় লাগলো। টিকেট কাউন্টার থেকে আমাদের হাতে বারকোডওয়ালা ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হলো। যে কোন রাইডে প্রবেশের মুখে বারকোড স্ক্যান করলেই গেইট খুলে যাবে। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম কোন রাইডটা আগে চড়বো। টিকেট কাউন্টার থেকে সরবরাহ করা লিফলেট থেকে জানলাম সেখানে বলা আছে প্রত্যেকটা রাইডে আপ এবং ডাউন মিলে দুবার চড়তে বলা হয়েছে সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করার জন্য। এখানে মোট তিন রকমের রাইড আছে। সিনিক রেইলয়ে, সিনিক কেবলওয়ে আর সিনিক স্কাইওয়ে। এর পাশাপাশি আছে মনোরম সিনিক ওয়াকওয়ে। সিনিক ওয়াকওয়েটা রেইনফরেস্টের মধ্যে বিছানো পাটাতনে হাঁটাহাটি। এখানে হাঁটলে বাইরের আবহাওয়া যাই হোক না কেন শরীরে শীত লাগবে, তাই জ্যাকেট পরে যাওয়া ভালো।

আমাদের মেয়ে তাহিয়া বললো, বাবা আমরা রেইলওয়ে দিয়ে শুরু করবো। এরপর ওয়াকওয়ে ধরে হেঁটে কেবলওয়ে দিয়ে আবার ফিরে আসবো, তারপর স্কাইওয়েতে যাবো। সেই মোতাবেক আমরা রেইলওয়ের গেটে হাতের ব্যান্ড স্ক্যান করে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করেই আমরা মুগ্ধদৃষ্টিতে প্রকৃতির এক অপরূপ রূপ প্রত্যক্ষ করলাম। জ্যামিশন ভ্যালির পর্বতমালার মাঝের জায়গাটাতে তুলতুলে সাদা মেঘের বিশাল একটা ভেলা ভাসছে। রেইলওয়েতে অপেক্ষার পুরো সময়টা আমরা এই দৃশ্য দেখলাম। এটা দেখে যেন আশ মিটে না। এটা এমনই একটা দৃশ্য যে দৃষ্টি ফেরানো যায় না। তবে এই দৃশ্যটা দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে খুব সকালে, না হলে পরে রোডের আঁচে মেঘগুলো উড়ে যায়।

একটু পরেই রেইলওয়েতে কেবিনগুলো চলে আসলো। এখানে বলে রাখা দরকার প্রত্যেকটা রাইডের দশ মিনিট পরপর কেবিনগুলো হাজির হয়, তাই তাড়াহুড়ো করার কোন দরকার নেই। রেইলওয়ের এই রাইডটা পৃথিবীর সবচেয়ে খাড়া রাইড, তাই সঙ্গে পরে যেতে পারে এমন কোন জিনিস থাকলে সাবধানে রাখতে হবে। এটা চলা শুরু করার কিছুক্ষণ পর আপনার মনে হবে আপনি সোজাসুজি কোন গভীর সুড়ঙ্গে তলিয়ে যাচ্ছেন। তখন মাথার উপরের রেলিং ধরে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়। এই রাইডটা খুবই কম সময়ের, কিন্তু অভিজ্ঞতাটা আপনার সারাজীবন মনে থাকবে। আমি সামান্য ভয়ে পেলেও তাহিয়া আর রায়ানের কোন বিকার দেখলাম না, তারা রীতিমতো হুল্লোড় করে চললো। রেইলওয়ে থেকে নেমে আমরা হাঁটা শুরু করলাম রেইনফরেস্টের মধ্যে। সেখানে পুরোনো কয়লাখনির আদলে এক একটা স্থাপনা গড়া। এখানে বলে রাখা ভালো এই কয়লাখনি সৃষ্টি না হলে এই সিনিক ওয়ার্ল্ডের মতো একটা সুবিধা তৈরি হতো না।  

হানিমুন ব্রিজ পেরিয়ে অবশেষে থ্রি সিস্টার্সের কোলে

প্রথমেই আছে কাটুম্বা কয়লা খনির অফিস। সেই অফিসের জানালা দিয়ে ভেতরে উঁকি দিলেই দেখা যায় একটা লোক তার সামনের টেবিলে খোলা খাতার উপর চশমাটা রেখে মনে হয় ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়েছেন। টেবিলের উপর রাখা আছে একটা জ্বলন্ত হারিকেন। এরপরই আছে ভেন্টিলেশন ফার্নেস, তারপর রাখা আছি ঘোড়ার গাড়িতে কয়লা টেনে নেওয়ার ভাস্কর্য। এরপর আছে খনির একটা দেয়াল। তার সামনের কাঁটাতারের বেড়ায় লেখা আছে ইতিহাস। এরপরই আছে খনির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির একটা বোর্ড। এটা ধরে এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে খনি শ্রমিকদের গ্রামের।

সেখানে পুরনো বাড়ির আদলে তৈরি করা আছে ঘর। আর ঘরের ভেতরের আসবাবগুলো একেবারে সেই আমলের। এগুলো বাচ্চাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেইসব পুরোনো দিনে। এই পথের শেষে দেখা মিলবে ক্যাবল কারের। আমরা সেটাতে করে আবার উপরে চলে আসলাম। তারপর সেখানকার রেঁস্তোরা ইটস ২৭০-তে খেয়ে নিলাম দুপুরের খাবার। তারপর দাঁড়িয়ে গেলাম স্কাইওয়ের লাইনে। স্কাইওয়ের মজা হলো চারপাশের দৃশ্য দেখার পাশাপাশি মেঝেতে লাগানো পরিষ্কার কাচের মধ্যে দিয়ে একেবারে নিচের দৃশ্যও দেখা যায়।

এটাতে উঠেই রায়ান আর তাহিয়া দৌড়ে দৌড়ে চারপাশটা দেখছিলো। স্কাইওয়ে থেকে ফিরে আমরা আবারও রেইলওয়ের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম। এইবার বেলা হয়ে যাওয়াতে লাইন বেশ লম্বা। রেইলওয়ে থেকে নেমেই আমরা বুশ ওয়াকিং শুরু করলাম। ওয়াকের রাস্তাটা খুবই মনোরম। আড়াআড়িভাবে একটা ঝর্ণার উপর দিয়ে চলে গেছে রাস্তাটা। সেটাতে প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটার পর আমরা থ্রি সিস্টার্সের একেবারে পাদদেশে এসে পৌঁছলাম। সেখান থেকে প্রায় আটশো সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠলে দেড় ঘণ্টা পর দেখা মিলবে আমাদের আরাধ্য তিন বোনের। রায়ান আর তাহিয়া ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো তাই বাধ্য হয়েই ফিরে আসলাম।

থ্রি সিস্টার্স এবং ছোট ভাই কেভিন

সিনিক ওয়ার্ল্ড থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে একজন সাহায্যকারীকে থ্রি সিস্টার্সে যাওয়ার রাস্তা জিজ্ঞেস করতেই পাশের একটা রাস্তা দেখিয়ে দিয়ে বলল- তোমরা এটা ধরে হেঁটে গেলে আধা ঘণ্টা পরেই পেয়ে যাবে থ্রি সিস্টার্সের দেখা। কিন্তু আবারও এই ‘প্রিন্স হেনরি ক্লিফ’ ওয়াকওয়ে ধরে প্রায় দেড় ঘণ্টা হাঁটার পর আমরা এসে পৌঁছলাম ‘কুইন এলিজাবেথ লুকআউটে’। থ্রি সিস্টার্স বলতে সবাই এই জায়গাটাকেই বোঝায়, কারণ এখান থেকেই থ্রি সিস্টার্সের সবচেয়ে সুন্দর ভিউ দেখা যায়।

কিন্তু আমাদের মন পড়েছিলো কিভাবে থ্রি সিস্টার্সকে ছুঁয়ে দেখা যায়। এরপর আমরা বিফল মনোরথে যখন ফিরে আসছি ঠিক তখনই দেখা মিললো 'থ্রি সিস্টার্স ওয়াকওয়ের'। সেটা ধরে আরও আধা ঘণ্টার মতো হাঁটার পর দেখা মিললো ‘জায়ান্ট স্টেয়ার’ এর উপরের অংশের। এই পুরো যাত্রাপথে অনেক মানুষের সঙ্গেই কুশল বিনিময় করলাম আমরা। এখানে এসে এক পৌঢ় দম্পতির সঙ্গে দেখা হলো। আমি তাদেরকে বললাম- উপর এবং নিচ মিলিয়ে আমরা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে হাঁটছি, শুধু থ্রি সিস্টার্সকে ছুঁয়ে দেখবো বলে। সেটা শুনে ভদ্রমহিলা বললেন- তুমি তো দেখি সুপার ড্যাড অর আই মাস্ট সে হিরো ড্যাড।

এরপর উনারা বললেন- এখনও আসল অংশটা বাকি রয়ে গেছে। এই 'জায়ান্ট স্টেয়ার' ধরে দুশো সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামলেই দেখা মিলবে থ্রি সিস্টার্সে যাওয়ার সেতুটার যার নাম 'হানিমুন ব্রিজ'। আর সেটা ধরে আরও আটশ সিঁড়ি ভেঙে নিচে নামলে দেখা মিলবে সেই জায়গাটার যেখান থেকে তোমরা ফিরে গিয়েছিলে। আমি বললাম অনেক ধন্যবাদ তোমাদের, তোমাদের দিনটা ভালো কাটুক। প্ৰত্যুত্তরে উনারাও আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফিরে চললেন। জায়ান্ট স্টিয়ারের সিঁড়িগুলোর ঢাল খুবই খাড়া, তাই আমি রায়ানকে আমার পিঠে নিয়ে নিলাম, কারণ ও এমনিতেই অনেক ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলো।

এরপর আমরা ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে শুরু করলাম। আমাদের দেখে সবাই সিঁড়ির পাশে দাঁড়িয়ে জায়গা করে দিচ্ছিলো, কারণ আমি রায়ানকে দেখিয়ে আমি সবাইকে বলছিলাম, সাইড প্লিজ, এই হ্যাভ এ বিগ ব্যাক প্যাক।

রেইলওয়েতে বড়রা ভয় পেলেও বাচ্চারা দারুণ উপভোগ করে

অবশেষে হানিমুন ব্রিজে এসে রায়ানকে পিঠ থেকে নামিয়ে দিলাম। এরপর ওরা দু’ভাইবোন প্রতিযোগিতা করে থ্রি সিস্টার্সের কোলে গিয়ে বসে পড়লো। এরপর ওখানে বসে সঙ্গে আনা চিপস আর পানি দিয়ে নাস্তা সেরে নিলো। একটা ব্যাপার আমাকে খুবই অবাক করছিলো মাত্র এগারো এবং পাঁচ বছরের এই বাচ্চা দুটো আমার সঙ্গে সঙ্গে এই উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে চলেছে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে, কিন্তু তাদের কোন ক্লান্তি নেই। আসলেই শিশুদের জীবনীশক্তি অফুরান। ইতোমধ্যে আমার মোবাইলের চার্জ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিলো, তাই ফটাফট কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। এখানে একটা কথা বলে নেওয়া দরকার, সেটা হলো সিনিক ওয়ার্ল্ডে মোবাইলের নেটওয়ার্ক থাকে না বললেই চলে। গ্ৰুপে বেড়াতে গেলে সবাই একসঙ্গে থাকায় শ্রেয়।

এরপর আমরা ফিরতে শুরু করলাম। ফেরার সময় রায়ান একাই খাড়া সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলো। আমি শুধু ওর পেছনে থেকে ওকে কাভার করে গেলাম। উপরে উঠেই ওদের জন্য পানি আর নিজের জন্য কফি নিয়ে নিলাম। আমাদের শরীরে হাঁটার মতো বিন্দুমাত্র শক্তি আর অবশিষ্ট ছিলো না। তাই ৬৮৬ নম্বর বাসের জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করলাম যেটা সিনিক ওয়ার্ল্ডে যায়। বাস থেকে নেমে গাড়িতে এসে স্টার্ট দিয়েই শুরুতে মোবাইলটা চার্জে দিয়ে দিলাম, কারণ গুগুল ম্যাপস চালানো যাবে না।

গাড়িতে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওদের দুজনের নাক ডাকার শব্দ পেলাম। পুরো রাস্তাটা আমার মনে হচ্ছিলো যেন আমি একটা ঘোরের মধ্যে আছি। আসলেই সিনিক ওয়ার্ল্ডের রাইডগুলো খুবই উপভোগ্য, অনেকটা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো আর থ্রি সিস্টার্সকে ছুঁয়ে দেখার অভিজ্ঞতাটা দুর্দান্ত। আপনি চাইলে দলবল নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন ব্লু মাউন্টেইন সিনিক ওয়ার্ল্ডের উদ্দেশ্যে,  আজীবন মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে। 

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন