জার্মান প্রবাসে বাঙালি জুয়াড়ি ও ক্যাসিনোর গল্প

ঘটিবাটি বিক্রি করে প্রবাসে এসে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অর্জিত টাকা জুয়ায় উড়িয়ে দেওয়ার মতো বাঙালিরও অভাব নেই।

মমতাজুল ফেরদৌস জোয়ার্দার, জার্মানির নুরেনবার্গ থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2020, 03:53 PM
Updated : 22 Oct 2020, 03:53 PM

জার্মানিতে দীর্ঘ প্রবাস বাসে এরকম বেশকিছু জুয়াড়ির সাথে পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য যাই বলেন না কেন, হয়েছে আমার।

আমি থাকি নুরেনবার্গ শহরে। এর আনাচে-কানাচে ক্যাসিনো পাওয়া যাবে। শুধু নুরেনবার্গ এর  আইবাখ এলাকায় আমি কোনও ক্যাসিনো দেখিনি।  তাছাড়া সব এলাকাতেই নির্দিষ্ট দূরত্বে একটা করে ক্যাসিনো আছে। বিশেষ করে শহরের কেন্দ্রে এবং প্লেরা এলাকায় ক্যাসিনোর ছড়াছড়ি।

অবশ্য এগুলোকে ক্যাসিনো বললে ভুল হবে। একটা ক্যাসিনোর যে বিশালত্ব এখানে তার কিছুই নেই। এ হলো জুয়ার ‘কুটির শিল্প’ আরকি! জার্মান ভাষায় জুয়ার এ ঘরগুলোকে বলা হয় স্পিলহালে বা স্পিলোথেক। এখানে একেকটা হলে ১২টা পর্যন্ত মেশিন থাকতে পারে। আর একটা জুয়াঘরে এরকম ৪টা হল অর্থাৎ সর্বোচ্চ ৪৮টা মেশিন থাকতে পারে।

একটা মেশিন থেকে আরেকটা মেশিনকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখতে হবে। ৪৮টা মেশিনের জন্য হলের সরকার নির্ধারিত কমপক্ষে ৩৩৬ বর্গমিটার জায়গা থাকতে হবে। প্রতি দুই মেশিনের মাঝে দেওয়াল থাকতে হবে। এছাড়া একটা ক্যাসিনো বাইরে কোন বিজ্ঞাপন বা পথ-বিজ্ঞাপন দিতে পারবে না। অবশ্যই একটা ক্যাসিনো অস্বচ্ছ কাচে বা দেওয়ালে আবৃত থাকতে হবে, যাতে ভেতরের কার্যকলাপ বাইরে থেকে কারো নজরে না আসে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন মানুষ দুইটার বেশি মেশিনে একই সময় খেলতে পারবে না। ২০২১ সালে এই নিয়ম পরিবর্তিত হয়ে একজন জুয়াড়িকে শুধু একটা মেশিনে খেলার অনুমতি দেবে।

একজন জুয়াড়িকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। অর্থাৎ ১৮ বছর পূর্ণ করতে হবে। তার আগে তিনি স্প্লিলহালে ঢুকতে পারবে না। বয়স প্রমাণের জন্য জুয়াড়িকে অবশ্যই তার মূল পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট সাথে রাখতে হবে। কোন কোন গ্যাম্বলিং কোম্পানি ২১ বছরের আগে একজন জুয়াড়িকে অনুমতি দেয় না সেখানে ঢোকার।

জার্মানির বড় তিনটা গ্যাম্বলিং কোম্পানি হলো- আডমিরাল, মেরকুর ও লোভেন প্লে। প্রথম দুটোতে ১৮ বছর বয়স্ক জুয়াড়ি যেতে পারে। তৃতীয়টাতে জুয়া খেলতে হলে অবশ্যই জুয়াড়ির বয়স ২১ হতে হবে। কোন জুয়া-কেন্দ্রে যদি ১৮ বছরের নিচের কোন নাগরিককে পাওয়া যায় তাহলে সে কোম্পানি তার লাইসেন্স হারাবে। যে কর্মী সে সময় কর্মরত থাকবে সে কাজ হারাবে এবং তার ৫০ হাজার ইউরো জরিমানা গুনতে হবে। কোন অজুহাতেই কোন অপ্রাপ্তবয়স্ককে জুয়া ঘরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এমনকি জরুরি ভিত্তিতে টয়লেট ব্যবহারের জন্যও না। তবে এই আইন শুধুমাত্র একটা ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। আর সেটা হলো, যদি কারো জীবনের আশঙ্কা থাকে সেক্ষেত্রে। যেমন একজনকে কেউ ছুরি, অস্ত্র বা লাঠি নিয়ে মারতে তাড়া করছে, তার জীবন হুমকির সম্মুখীন। তখন তাকে ক্যাসিনোতে কর্তব্যরত ব্যক্তি ভিতরে নিয়ে এক কোণায় বসিয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশকে ফোন করবে, এবং তাকে পুলিশের হেফাজতে হস্তান্তর করবে।

জুয়া অনেক পরিবার ও মানুষের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। অনেকেই ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরছে। সামাজিক কারণে সরকার কিছু লোক দেখানো নতুন আইন করেছে, সমাজকর্মীদের চাপে। যেমন একজন দু'টোর বেশি মেশিনে একাধারে খেলতে পারবে না। উচ্চহারে বাজি ধরতে পারবে না। নির্দিষ্ট সময়ের পর মেশিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিরতি দেবে ইত্যাদি।

কিন্তু সরকার কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি জুয়া বন্ধের জন্য। সিগারেটের প্যাকেটে যেমন লেখা থাকে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এখানেও তেমন কিছু সর্তকতামূলক বাণী প্রচার করা হয়। যেমন জুয়া আপনাকে আসক্ত করতে পারে। একটাই সমাধান ক্যাসিনোগুলো বন্ধ করে দেওয়া।

যেমন- জুয়ায় অধঃপতনের কারণে, রাশিয়াতে একদিনের সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সব ক্যাসিনো বন্ধ করেছিলেন। সে সময় অনেক কথা উঠেছিল- সেখানকার কর্মীরা বেকার হয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করেননি, পুরো জাতিকে বাঁচাতে। চীনেও জুয়া নিষিদ্ধ। ইসলাম জুয়া নিষিদ্ধ করেছে।

জার্মান ধনী ও পুঁজিবাদীদের চাপে সরকার এখানে পুতুলের মত। তথাকথিত গণতন্ত্রের বুলিতে পঞ্চমুখ। কমপক্ষে সরকার যারা সরকারি পয়সা খায় তাদের জন্য জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করতে পারে। কিন্তু করে না। অথচ প্রতিবেশী দেশ চেক প্রজাতন্ত্রে যারা সরকারি ভাতা পায় তারা জুয়া খেলতে পারবে না। ক্যাসিনোগুলো তাদের পরিচয়পত্র দেখে নির্দিষ্ট নিয়মে অনুসন্ধান করলেই বের করতে পারবে, সে সরকারি ভাতা খায় কিনা।

অনেক বাবা মা তাদের সরকারি ভাতার টাকা দিয়ে জুয়া খেলে বাচ্চাদের প্রতি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এদের অনেকেই বাচ্চা হারিয়েছে। দায়িত্বহীনতার কারণে সরকার তাদের বাচ্চাদের অন্য কোন নিঃসন্তান পরিবারকে দত্তক দিয়েছে, অথবা সরকারি হেফাজতে রেখেছে।

একজন বাঙালি তার দুই বাচ্চাকে হারিয়েছেন। তিনি আমার বিশেষ পরিচিত। ওই বাঙালি ভদ্রলোকের সাথে আমার প্রায় ৫/৬ বছর কোন যোগাযোগ ছিল না। তখন আমি মেরকুর ক্যাসিনোতে অতিথিদের প্রযুক্তিগত ও সামাজিক সেবা দিচ্ছিলাম, সেখানেই পেলাম তাকে। তিনি এক মনে জুয়া খেলে যাচ্ছে। পাশে কে দাঁড়িয়ে কোনও খেয়াল নেই।

আমি একটু মজা করে জার্মান ভাষায় তাকে জিজ্ঞাসা করলাম- আমি কী আপনাকে কোনও সাহায্য করতে পারি? আপনি কী কিছু পান করতে চান?

সে আমার দিকে না তাকিয়ে শুধু জার্মান ভাষায় জানালো, "না ধন্যবাদ।" এমন পরিচিত একজন মানুষ সে আমার গলা পর্যন্ত চিনতে পারলো না। পরে তাকে বাংলায় জিজ্ঞাসা করলাম- কিছু কী পান করতে চান?

তখন আমার দিকে তাকিয়ে বিস্মিত চোখে বললেন- আরে আপনি এখানে! সে জুয়ার নেশায় ডুবে গিয়েছিল।

পরে বললেন, “পয়সা নেই পান করার মতো। যা পয়সা ছিল সব হেরে গিয়েছি।”

আমি তাকে একটা কোলা কিনে দিলাম আমার পকেটের পয়সা দিয়ে। পরে আমার বস আমাকে জানিয়েছিলেন, তোমার বন্ধু আসলে তাকে বিনামূল্যে পানীয় দিতে পার। মূল্য পরিশোধ করতে হবে না। এক সময় এ মানুষটা প্রচুর উপার্জন করতো। মাসে প্রায় ছয় বা সাত হাজার ইউরো ছিল তার আয়। সব জুয়ার পেছনে গেছে। এখন খাবার পয়সা নেই।

বেশ কিছু বাঙালি বড় জুয়াড়ি আছে জার্মানিতে। এদের কেউ কেউ আবার নিজেকে সব থেকে বড় জুয়াড়ি দাবি করে গর্ব অনুভব করেন। এদের মধ্যে একজনের একটা রেস্টুরেন্ট ছিল সেখানে তার প্রতি মাসে কমপক্ষে পাঁচ হাজার ইউরো আয় হত। রাতে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করেই ক্যাসিনোতে যাওয়া ছিল তার নেশা। এই করতে করতে আয়কর পরিশোধ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু একদিন কড়া নির্দেশ আসে আয়কর পরিশোধ করার জন্য। ঢাকাতে তার চার তলা একটা বাড়ি ছিল সেটা বিক্রি করে কর পরিশোধ করেন। তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। পরে রেস্টুরেন্ট বিক্রি করে, সেখানেই তিনি কাজ করেছে।

আমার আরেক বন্ধু সেও বড় জুয়াড়ি। এখনও সে জুয়া চালিয়ে যাচ্ছে। তার সাথে দেখা হলেই জুয়ার গল্প ছাড়া আর কিছু নেই। খুবই বিরক্তিকর। মাসে তিন হাজারের মত আয় করেন, জার্মানির মতো দেশে স্বচ্ছল থাকার জন্য যা যথেষ্ট। অথচ তার জুতা দিয়ে পানি ঢুকছে, একটা ভাল জুতা কেনার পয়সা নেই। কিন্তু জুয়ার পয়সার আকাল নেই। এক সময় তার বাসা পর্যন্ত ছিল না। তার জীবনে একদিন সাড়ে নয় হাজার ইউরো জিতেছিল। তারপর তিন দিন বিনা নোটিশে কাজে না গিয়ে, সেই টাকা হেরেছিল। তার বাবা মারা গেছে বেশ কিছুদিন আগে; ভেবেছিলেন- টাকা জিতলে দেশে যাবেন, তা আর হয়নি। ঘর সংসার ভেঙ্গেছে, সব কিছু শেষ- কিন্তু শেষ হয়নি জুয়া খেলা। গত ২৮ বা ২৯ বছরে তিনি ব্যাংক ঋণ করে উপার্জনের সব টাকা জুয়ার পিছে ঢেলেছেন, যার পরিমাণ ৪ লাখ থেকে অর্ধ মিলিয়ন ইউরো!

বর্তমান সময়ে ক্যাসিনোতে ভিড় কিছুটা কমে গেছে ঠিক। এর অর্থ এই না যে, জুয়ার আসক্তি কমে গেছে। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া  আর সবার আয় এখন স্বাভাবিকের তুলনায় কম। যত মানুষ ক্যাসিনোতে খেলতে আসেন, তার শতকরা পাঁচ ভাগও জার্মান না। অধিকাংশই বিদেশি, বিশেষ করে অ্যারাবিয়ান, তুর্কি, সাবেক যুগোস্লাভিয়ান, রোমানিয়ান, পোলিশ, রুশ, আলবেনিয়ান, গ্রিক। এরইমধ্যে আবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম রয়েছেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে জার্মানিতে লক ডাউনের শুরু হলে প্রায় দুই মাস ক্যাসিনোগুলো বন্ধ ছিল। খোলার পর ক্যাসিনোতে প্রচণ্ড ভিড় দেখা দিয়েছিল। বর্তমানে ভিড় কিছুটা কম হলেও উপস্থিতি খারাপ না। তাছাড়া ভাইরাসের কারণে প্রায়ই আইনের পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষ মাস্ক পরতে চান না। মাস্ক না পরলে তাদেরকে তিন বার সতর্ক করার নিয়ম। তারপরও কথা না শুনলে তাকে ক্যাসিনো ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এরপরও কেউ ক্যাসিনো না ছাড়লে, পুলিশ ডাকার নির্দেশনা আছে কর্মীদের উপর।

ক্যাসিনোতে ঢুকে জুয়াড়িরা এক মেশিন থেকে পাগলের মত আরেকটাতে ছুটতে থাকে। এদের মধ্যে কেউ কেউ উগ্র মেজাজে থাকে অতিরিক্ত হারার কারণে। একজন দু'সপ্তাহে ১৬হাজার ইউরো হেরে ক্যাসিনোর মালিকের চৌদ্দ-গুষ্টি উদ্ধার করছিল।

এ জুয়াড়িদের মধ্যে তিনটা ভাগ আছে। যারা প্রথম ধাপে পড়ে তারা খুব বেশি আসক্ত নন। এরা মোটামুটি মজা করার জন্য খেলেন। এদের চিকিৎসা সম্ভব। যারা দ্বিতীয় ধাপে পড়েন, তাদের চিকিৎসা সম্ভব কিন্তু কঠিন। আর যারা তৃতীয়-ধাপে তাদের চিকিৎসা প্রায় অসম্ভব। এরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে ক্যাসিনোতে পড়ে থাকেন। উদ্ভ্রান্তের মত একদিক থেকে আরেকদিকে ছোটে।

মাঝে মাঝে পার্ট-টাইম কাজ করতে ক্যাসিনোতে যাই। এবার দেখলাম এক নার্স ও তার বান্ধবী খেলতে আসেন। নার্সের উসকোখুসকো চুল সাদা প্যান্ট, কাজ শেষ করে প্যান্ট না পাল্টেই চলে এসেছেন- বোঝা যায়। যে নার্স নেশাগ্রস্ত তিনি রোগীদের কীভাবে সেবা দেন কে জানে! এই সেবিকাও বিদেশি। তার বান্ধবী অন্তসত্ত্বা, সম্ভবত ৭/৮ মাস চলছে। উঁচু পেট নিয়ে এক মেশিন থেকে আরেক মেশিনে ছুটছেন! সিগারেট টানছেন! সাথে তার স্বামী বা বন্ধু- সেও খেলছে।

এই বাচ্চাটা মায়ের পেট থেকেই কী যে চাপের মধ্যে আর সিগারেটের বিষ নিতে বেড়ে উঠছে! কামনা করি সুস্থভাবে শিশুটা জন্ম নিক। সে যেন এসব থেকে দূরে থাকতে পারে। আর কামনা করি জার্মানির সরকার প্রধানের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। শুধু কথায় না বাস্তবেও সে মানবতার জননীর মত আচরণ করুক।

আমার চোখের সামনে শত শত মানুষকে আমি রাস্তায় বসে যেতে দেখেছি এই জুয়ার নেশায়। জার্মানির ১৮তম ধনী গাউজেলমান। তিনি মেরকুর ক্যাসিনোর মালিক। মাত্র দেড় হাজার জার্মান মার্ক দিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এখন তিনি শুধু ক্যাসিনোর মালিক নন, জুয়ার মেশিনও উৎপাদন করেন। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ করেন। প্রশিক্ষণের সময় আমাদের সে কারখানা ঘুরে দেখানো হয়েছিল। অ্যাঙ্গেলা মারকেল ক্ষমতায় আসার পর ধনীদের তাঁবেদারি করতে করতে মধ্যবিত্ত নামক গোষ্ঠীটিকে প্রায় জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর এই জুয়ার মতো ফাটকা জাতীয় ব্যবসাগুলোকেও চরম হারে মদদ দিয়েছেন।

২৭ বছর আগে আমি যখন এদেশে আসি তখন বর্তমানে যত ক্যাসিনো আছে তার শতকরা ৫ ভাগও দেখিনি। এখন শুধু নুরেনবার্গেই আড়াই শ-রও বেশি ক্যাসিনো রয়েছে। আর বিভিন্ন খেলার বাজি ধরার ঘরের তো আকাল নেই। এর দায় অবশ্যই সরকারের। জুয়া নিয়ে এত ক্ষুদ্র পরিসরে লেখা দুরূহ।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!