যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণে অভিযুক্ত বাংলাদেশি বৃদ্ধ, শাস্তি দাবি

যুক্তরাষ্ট্রে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক বাংলাদেশি-আমেরিকান বৃদ্ধের শাস্তি চেয়ে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2020, 06:28 AM
Updated : 15 Sept 2020, 12:13 PM

অভিযুক্তের নাম আক্কাস আলী ওরফে মোহাম্মদ আলী (৬৮)। সিলেটের সন্তান আক্কাস দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্কের হাডসনে বসবাস করছেন।

শুক্রবার দুপুরে হাডসন শহরের প্রমেনেডি হিলের কাছে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘জাগো হাডসন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বিক্ষোভের সময় তিনি বাসার বাইরে বের হননি।

‘জাগো হাডসন’ প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম জেরিন আহমেদ বলেন, “শিশুদের যৌন-নির্যাতন ও যৌন হামলার কয়েকটি ঘটনায় আক্কাস আলী অভিযুক্ত। গত কয়েক দশকে এই আক্কাস আলী কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছেন অন্তত ৮ শিশু-কিশোর। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত তিনজন পুলিশে অভিযোগ করেছেন। অন্যরা রয়েছেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে, সামাজিক লজ্জার আবর্তে।”

‘জাগো হাডসন’ এর প্রধান সংগঠক জেমিন আহমেদ বলেন, “দুটি শিশু ধর্ষণ মামলায় গত বছর ৩ সেপ্টেম্বর আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করে হাডসন পুলিশ। ২০০৮ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ৫-১১ বছরের দুটি মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করেছেন তিনি। আমাদের জানা মতে আরও অনেক মেয়ে আছে যারা এ অমানুষের হাতে আঘাত পেয়েছে।”

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন হাডসন সিটির মেয়র কামাল জনসন, সিটির সুপারভাইজার লিন্ডা মৌউসম্যান, মাইকেল ছামিদাস, সিটির কর্মকর্তা টিফানি গ্যারিগস ও কুইন্টন ক্রস।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে পুলিশের কাছে প্রথম তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ জানান ফারজানা মওসুমি নামে এক প্রবাসী নারী। তারপর নানা কারণে সময়ক্ষেপণ করে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। লাগাতার কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে আক্কাস আলীকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয় গত বছর নভেম্বরে এবং তৃতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার হন এবছর মার্চে।

বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। জুরিবোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্ষণসহ নির্যাতন ও শিশুর নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ ২৫ বছর জেলে থাকতে হবে বলে জানান সেখানকার কলম্বিয়া কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি।

প্রবাসীরা জানান, আক্কাস আলীর মালিকানায় তিনটি ফুডকার্ট বা রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান খাবার বেচার দোকান রয়েছে। তার ছেলে-মেয়েরা সেগুলো দেখভাল করেন। তিনি নিয়মিত মসজিদে যান এবং এলাকার প্রবাসীদের সঙ্গেও রয়েছে সখ্যতা। এমন অবস্থায় তার বিরুদ্ধে একই কমিউনিটির মেয়েরা পুলিশে অভিযোগ করার পর অনেকেই হতভম্ব হয়েছেন।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!