যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার ১৯ বছর: নিহত বাংলাদেশিদের স্বজনরা যাবেন না গ্রাউন্ড জিরোতে

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে  টুইন টাওয়ারে হামলার ১৯ বছর পূর্তিতে ওই ঘটনায় নিহত ছয় বাংলাদেশির স্বজনেরা তাদের স্মরণে গ্রাউন্ড জিরোতে না গিয়ে এবার দোয়ার আয়োজন করেছেন বলে জানিয়েছেন।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2020, 04:07 PM
Updated : 10 Sept 2020, 04:07 PM

ওই হামলার পর থেকে নিউ ইয়র্কে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জায়গায় স্থাপিত ‘গ্রাউন্ড জিরো’-তে  প্রতিবছরই সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্মরণে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ওই স্মরণে নিহতদের স্বজনেরা জড়ো হয়ে গ্রাউন্ড জিরোতে স্থাপিত স্মৃতি-সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। একে একে উপস্থিত স্বজনরা হামলায় নিহতদের নাম পাঠ করা হয়।  

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির গভর্নরসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও অংশ নিয়েছেন।

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে এবার সবকিছুই সীমিত আকারে হচ্ছে।

সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হবে অনুষ্ঠান। রেকর্ডকৃত নামগুলো মাইকে ধ্বনিত হবে। মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। হামলায় প্রায় ৩ হাজার নিহতদের স্বজনের অনেকেই থাকবেন সেখানে।

ওই হামলায় নিহত হন ৬ বাংলাদেশি। তাদের স্বজনেরাও যথারীতি আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভীতির কারণে কেউই গ্রাউন্ড জিরোতে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন- নূরল হক মিয়া ও তার স্ত্রী শাকিলা ইয়াসমিন, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবুল কে চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ এবং মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

এরমধ্যে মৌলভীবাজারের গ্রামের বাড়িতে শাকিলা ইয়াসমিনের স্মরণে তার বাবা শরীফ চৌধুরী দরিদ্রতম ১৯টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছেন ‘শাকিলা আবাসন’ প্রকল্পে। ১১ সেপ্টেম্বর সেখানে দোয়া ছাড়াও গাজীপুরে একটি এতিমখানায় মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলে ভার্জিনিয়ায় বসবাসরত শরিফ চৌধুরী জানান।

তিনি তার জামাতা নূরল হক মিয়ার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছাতে স্থাপিত একটি মাদ্রাসায় দোয়ার আয়োজন করেছে  বলেও জানিয়েছেন।

নূরল হক মিয়া-শাকিলা ইয়াসমিন দম্পতি বাস করতেন নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনে বে রিজ এলাকায়। এই দম্পতির স্মরণে তাদের বাসার সড়কের নামকরণ ২০০৫ সালে করা হয়েছে, ‘শাকিলা ইয়াসমিন অ্যান্ড নূরল হক মিয়া ৯/১১ মেমরিয়্যাল ওয়ে’।

সাব্বির আহমেদ, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবুল কে চৌধুরী এবং মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন চৌধুরীর স্বজনেরা বিশেষ দোয়ার আয়োজন করছেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ওই সন্ত্রাসী হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তালিকায় নিহত হিসেবে কেবল ওই ছয় বাংলাদেশিই রয়েছেন। তালিকায় থাকা এসব বাংলাদেশিদের স্বজনরাও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

কোনও কোনও ব্যক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে নিহত বাংলাদেশির পরিমাণ বাড়িয়ে বলার প্রবণতা গত কয়েকবছর থেকে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার নামও দিয়েছেন। কিন্তু সেইসব পরিসংখ্যানের কোনও সত্যতা মেলেনি। য়েছেন, যা আদৌ সত্য নয়।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!