গ্রেনেড হামলার রায় কার্যকরের দাবি জানালো ৩০টি দেশের প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা

প্রবাসে বসবাসরত ৩০টি দেশের আওয়ামী লীগের দেড়শ জন নেতা-কর্মী অনলাইনে এক সভায় একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার হোতা ও খুনিদের রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছে।

সুইজারল্যান্ড প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2020, 07:51 PM
Updated : 4 Sept 2020, 07:51 PM

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় অনলাইনে জার্মান আওয়ামী লীগের সভাপতি বসিরুল আলম চৌধুরী সাবুর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক  প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় ওই আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

অনলাইনে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় অংশ নেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সর্ব ইউরোপীয়ান লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অনিল দাশ গুপ্ত এবং এম এ গনি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল হক ।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে জুম অ্যাপ ব্যবহার করে  দোয়া ও আলোচনা সভায় অংশ নেন প্রবাসের আওয়ামী লীগের শাখাগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া,  ইতালি, ফ্রান্স,  স্পেন, পর্তুগাল, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, গ্রীস -সুইডেন আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, নরওয়ে, রাশিয়া, চেক রিপাবলিক,  সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর , জাপান , মালয়েশিয়া , কুয়েত, দক্ষিণ কোরিয়া  এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল ও বিশেষজ্ঞ পরিষদ ও ৩০টি দেশের প্রবাসীরা এতে অংশ নেন। 

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের পাঠানো একুশে অগাস্টের উপর বিশেষ ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, “১৫ অগাস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান এবং ২১ অগাস্টে তার স্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশুন্য করতে চেয়েছিলো। ২১ শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে তারেক রহমান সরাসরি জড়িত ছিল।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “মুজিববর্ষে আমরা বঙ্গবন্ধু একজন খুনিকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে পেরেছি। বাকীদেরও দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। পৃথিবীর যেসব দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পালিয়ে আছে- আপনারা খুনির বাড়ির সামনে গিয়ে আন্দোলন, প্রতিবাদ করুন, যাতে করে সেসব দেশের সরকারের নজরে পড়ে। আপনারা বলুন যে এই বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর খুনি আছে।”

এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অবস্থান বিষয়ে তথ্য দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, “আপনারা যারা প্রবাসে আছেন তারা নিজ নিজ দেশের ভাষায় বাংলাদেশর ইতিহাস তুলে ধরুন, জাতির জনকের কথা, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা, সর্বপরি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্ব দরবারে তুলে ধরুন।”

সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও জার্মান আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা অনিল দাশ গুপ্ত নেতা-কর্মীদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থা রাখার আহ্বান জানান।

সভায় সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ইউরোপসহ বহির্বিশ্বের জামাত-বিএনপির অপপ্রচার প্রতিরোধ করতে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।

ছয়ঘণ্টা ব্যাপী এ জুম লাইভ সভায় বক্তারা বলেন, ২১শে অগাস্ট ছিল ১৫ অগাস্টের ধারাবাহিকতা। তদন্ত কমিশন গঠন করে ১৫ অগাস্টের ঘটনার নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে ২১ অগাস্ট দেখতে হতো না।

বক্তারা বলেন, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে তারেক রহমান সরাসরি জড়িত ছিল  তা আদালতে প্রমাণিত ও সর্বজন স্বীকৃত।

শিগগিরই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আনার এবং আদালতের রায় কার্যকর করার জোর দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে অঙ্গীকার করেন- সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এম এ গনি, সাবেক প্রচার সম্পাদক খোকন শরীফ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সহ সভাপতি শামসুদ্দিন আজাদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সামাদ আজাদ, নিজাম চৌধুরী সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেওয়ান মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাসিব মামুন, প্রচার সম্পাদক দুলাল মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহ্বায়ক রাব্বী আলম, কানাডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্স, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল হক, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ইদ্রিজ ফরাজী, সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গির কবির, সাধারণ সম্পাদক ফারহাদ আলী খান,  ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মেদ আবুল কাশেম, স্পেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিজভি আলম, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি, শহীদুল হক, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, সাবেক বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুস সালাম, নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন তপন, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান, নেদাল্যান্ডস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা জামান, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মজুমদার বাচ্চু এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান, গ্রীস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল আহমেদ, সাবেক সহ সভাপতি বদরুল ইসলাম, নরওয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুুল আমিন মজুমদার, সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, রাশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. বাহার পাটোয়ারী মোতাল্লেব, সহ-সভাপতি শেখ হাবীবুর রহমান, রাশিয়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন রাজিব, রাশিয়া ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ রনি, চেক রিপাবলিক আওয়ামী লীগের নেতা মামুন হাসান ও ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন, সাধারণ সম্পাদক  শহীদুল ইসলাম শেখ (হাসান) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোলায়মান (স্বপন), দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন মানিক, সিঙ্গাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন রানা, সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন, জাপান আওয়ামী লীগ সভাপতি জুয়েল তরফদার, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেন, আহ্বায়ক রেজাউল করিম রেজা, যুগ্নআহ্বায়ক অহিদূর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ বাদল, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন সর্দার, সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য আলমগীর হোসেন, মো. রাহাদ উজ্জামান, কুয়েত রাজ্য শাখা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাদেক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম মিন্টু, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল ও বিশেষজ্ঞ পরিষদ, ইউরোপ (নর্ডিক) এর সভাপতি মাহফুজুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম শেলী ও সাংবাদিক কমরেড খোন্দকার ও সাংবাদিক নুরুল ওয়াহিদ।

জার্মান আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন  জার্মান আওয়ামী লীগের  সিনিয়র উপদেষ্টা সৈয়দ সেলিম আহমেদ, মহসিন হায়দার মনি, সিনিয়র সহ সভাপতি ইউনুস আলী খান, সিনিয়র সহ সভাপতি  জাহিদুল ইসলাম পুলক,  সিনিয়র সহ সভাপতি জিল্লুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল মোল্লা, জামশেস রানা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুরর রহমান মোল্লা, অর্থ সম্পাদক মো. আলী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক গাজী জিয়াউল হক মাসুম, হামবুর্গ শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রতন, জার্মান আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আমানুল্লাহ ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কায়সার উল আলম, সুইডেন আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক জুবাইদুল হক সবুজ এবং যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান।

বক্তারা জার্মান আওয়ামী লীগ কে প্রথমবারের মতো বিশ্বের ৩০ টি দেশকে অনলাইনে সংযুক্ত করার আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে বিশেষ ধন্যবাদ দেন।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!