কুয়েত ছাড়তে হবে ‘বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি ছাড়া’ ষাটোর্ধ্ব বাংলাদেশিদের

বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি নেই এমন ষাটোর্ধ্ব প্রবাসীদের আর কাজের অনুমতি না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কুয়েতের জনশক্তি কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে মেধাভিত্তিক নতুন এ অভিবাসন আইনে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দেশটিতে বসবাসরত বয়স্ক বাংলাদেশিরাও।

আ হ জুবেদ, কুয়েত প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2020, 06:22 AM
Updated : 29 August 2020, 06:22 AM

কুয়েতের পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল ইনফরমেশন বিভাগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক ‘আরব টাইমস’।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উপসাগরীয় দেশ কুয়েতে ৯৭ হাজার ৬১২ জন প্রবাসীর বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি। এদের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক, কম শিক্ষাগত যোগ্যতা বা অনেকের একেবারেই শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। ফলে তাদের চলমান আকামা শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী আকামা নবায়ন করবে না কুয়েত।’

ধারণা করা হচ্ছে এদের মধ্যে মিশরিয় প্রবাসীর সংখ্যাই বেশি। ষাটোর্ধ্ব বয়সি বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা কম। তবে বাংলাদেশি যারা এখানে আছেন এদের অধিকাংশ বিভিন্ন ব্যবসায় নিয়োজিত।

মৌলভীবাজারের টিবি হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা ৬৩ বছর বয়সি আবু সাইদ কুতুব উদ্দিন প্রায় ৪০ বছর ধরে কুয়েত আছেন। তিনি বলেন, “কুয়েতে ব্যবসা করে ব্যক্তিজীবনে অনেক অর্জন করেছি। যদিও চাচ্ছিলাম শিঘ্র কুয়েত ছাড়বো, কিন্তু নতুন অভিবাসন আইন অনেকটাই সমস্যায় ফেলে দিয়েছে।”

আবু সাইদ বলেন, “সবাইকে কুয়েত ছাড়তে হবে এটা নিশ্চিত। তবে এখান থেকে সবকিছু গুটিয়ে যাওয়ার আগে মোটামুটি প্রস্তুতি দরকার।”

লক্ষ্মীপুরের আব্দুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা জালাল আহমেদের প্রকৃত বয়স ৫০ এর একটু বেশি। কিন্তু পাসপোর্টে উল্লেখ অনুযায়ী তিনি ষাটোর্ধ্ব বয়সি। প্রায় ২০ বছর ধরে কুয়েতে একটি কোম্পানিতে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করছেন জালাল।

তিনি বলেন, “কুয়েতে আসার পর থেকে কখনোই ভালো বেতনে কাজ করিনি। এ অবস্থায় দেশে চলে গেলে নিঃস্ব হাতে যেতে হবে।”

২০২১ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে নতুন এ অভিবাসন আইনটি কার্যকর হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে ‘আরব টাইমস’ আরও জানায়, ‘কুয়েতে ১৫ হাজার ৫০২ জন প্রবাসী রয়েছেন যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারী। ৯৯ হাজার ৭২০ জন বেদুইনদের কাছে রয়েছে ডিপ্লোমা সনদ। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেটধারী আছেন ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫ জন প্রবাসী।’

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!