কোভিড-১৯ মহামারী ও জাপান সরকারের সামাজিক দুরত্ব কর্মসূচির কারণে সীমিত পরিসরে কানসাইয়ের কিয়ুটোর একটি রেস্তোরাঁয় দিবসটির কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কোরান ও গীতা পাঠের পর আলোচনার শুরুতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সাবেক ছাত্রনেতা রাসেল নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কানসাই, জাপান শাখার আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. সায়েম ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে উপদেষ্টা আমিনুর রহমান জাতির জনকের অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু তার আদর্শকে মুছে দেওয়া যায়নি। বরং তার স্মৃতি গণমানুষের মনে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে।
“তিনি বাঙালির ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হয়ে বাঙালি জাতির মানসে চিরভাস্বর হয়ে আছেন।”
আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. সায়েম তার বক্তব্যে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, “১৫ অগাস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক ঘটনা এবং কলঙ্কময় দিন। জাতির পিতা সারাটা জীবন জেল, জুলুম ও অত্যাচার উপেক্ষা করে তার অসাধারণ ও অসামান্য বীরোচিত নেতৃত্বগুণে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন জাতি ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।”
সদস্য সচিব মো. হারুন অর রশিদ বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতিধারা রুদ্ধ হয় এবং স্বাধীনতার মূল চেতনার বিচ্যুতি ঘটে।”
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নতুন প্রজন্মকে দেশ গড়ার আহ্বান এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন উপদেষ্টা মাসুদ-উল-হাসান, মো. আশরাফুজজামান রোমেল এবং লুৎফর রহমান মাসুম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওসাকা, কোবে, নারা, কিয়ুটো ও শিগা প্রিফেকচার উপস্থিত ছিলেন- হলেন অসীম কুমার সাহা, সাইফুল ইসলাম, আর এ সরকার রবিন এবং সুমন দা।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |