যুক্তরাষ্ট্রে কোলাকুলি ছাড়াই কোরবানির ঈদ উদযাপিত

করোনাভাইরাস ভীতি সঙ্গী করেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অন্যান্য দেশের মুসলিমদের সাথে কোরবানির ঈদ পালন করেছেন।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2020, 05:13 PM
Updated : 31 July 2020, 05:13 PM

স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউ ইয়র্ক অঞ্চলে বৃষ্টি থাকায় সবগুলো মসজিদেই প্রতি ঘণ্টায় একটি করে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ থাকায় হাজার বছরের ঐতিহ্য ভেঙে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে মুসলিমদের ঈদের জামাতে অংশ নেওয়ার বিধিনিষেধ ছিল। বাস্তবে খুব কমসংখ্যক ঈদ জামাতেই তার প্রতিফলন ঘটতে দেখা গেছে।

তবে প্রায় সকলেই মাস্ক পরা ছিল এবং জামাত শেষে কোলাকুৃলি কিংবা করমর্দনের চিরচেনা দৃশ্যটি ছিল একেবারেই অনুপস্থিত।

ঈদ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘ঈদ মুবারক’ জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল আর পম্পেও। তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।

নিউ ইয়র্কে আল মারজান মসজিদে ঈদ জামাত।

জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, জ্যাকসন হাইটস মোহাম্মদী সেন্টার, আল আমিন মসজিদ, ইস্ট এলমহার্স্ট মসজিদ, পার্কচেস্টার জামে মসজিদ, গাউসিয়া মসজিদ, ওজনপার্ক মসজিদ, মসজিদ আল মারজান, লং আইল্যান্ড মুসলিম সেন্টার, বায়তুল জান্নাহ মসজিদ, মক্কী মসজিদ, মদিনা মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার ভোর ৬টায়।

এরপর অনেকে পছন্দের গরু, খাসি, ভেড়া কোরবানির জন্য পশু খামারে ছোটেন। কেউ কেউ নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে দেড়শ’ মাইল দূরে ফিলাডেলফিয়াতেও গেছেন গরু কোরবানি দিতে।

পেনসিলভেনিয়া, নিউ জার্সি, বস্টন, কানেকটিকাট, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, মিশিগান, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, মিনেসোটা, ওয়াশিংটন, দেলওয়ারে, ওহাইয়ো, আলাবামা, নিউ অর্লিন্স, ক্যানসাস, কেন্টাকি এবং ওরেগনেও ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

তবে পশু কোরবানী দিতে এবার অনেকেরই আগ্রহ কম ছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভীতি ছাড়াও স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে কোরবানির মাংস বিতরণে আগের মত আন্তরিক আগ্রহ কমে যাওয়ায় অনেক প্রবাসী বাংলাদেশে স্বজনের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন কোরবানীর জন্য।

ঈদ জামাত শেষে মোনাজাত।

প্রায় সব ঈদ জামাতেই অনুষ্ঠিত নামাজ পরবর্তী দোয়ায় কোভিড-১৯ মহামারি থেকে মানবতার দ্রুত মুক্তির জন্যে পরম করুণাময়ের দয়া প্রার্থনা করা হয়।

ইতিমধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং আক্রান্তদের আরোগ্য কামনাও করা হয়।

এর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় ঈদুল ফিতরের জামাত নিয়ে খুব কমসংখ্যক মুসল্লিরই আগ্রহ ছিল। কোরবানির ঈদেও টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, আরিজোনা, আলাবামা, মিসিসিপি, আরকানসাস, জর্জিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একই অবস্থা বিরাজ করছে।