টাওয়ার হ্যামলেটস থেকে সরানো হল দাস ব্যবসায়ী মিলিগানের ভাস্কর্য

লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চল টাওয়ার হ্যামলেটস বারা থেকে ব্রিটিশ দাস ব্যবসায়ী রবার্ট মিলিগানের ভাস্কর্য সরানো হল দুইশ বছর পর।

লন্ডন প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2020, 05:58 AM
Updated : 10 June 2020, 05:58 AM

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে বারার মেয়র জন বিগসের উপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কি'র মিউজিয়াম অব লন্ডন ডকল্যান্ডসের সামনে থেকে ভাস্কর্যটি সরানো হয়।

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান সম্প্রতি ঘোষণা দেন, শহরের যে সব ভাস্কর্য আর রাস্তার নামের সঙ্গে দাস ব্যবসার ইতিহাস জড়িয়ে আছে, সেগুলো তিনি পর্যালোচনা করবেন। তিনি বলেছিলেন, দাস ব্যবসার ইতিহাস বহন করে- এরকম সবকিছুই সরিয়ে ফেলা উচিৎ।

রোববার দক্ষিণপশ্চিম ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে সপ্তদশ শতকের দাস ব্যবসায়ীর এডওয়ার্ড কোলস্টোনের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে সাগরে ফেলে দেয় বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।

১৭৪৬ সালে স্কটল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ধনাট্য রবার্ট মিলিগান ছিলেন সেই সময়ের নামকরা দাস ব্যবসায়ীদের একজন।

জ্যামাইকায় তার একটি সুগার প্ল্যান্টেশনে ৫২৬ জন দাস কাজ করত । চিনি ছাড়াও কফি ও জাহাজের ব্যবসা ছিল তার।

মিলিগানের মৃ্ত্যুর পর ‘ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কির উন্নয়নে তার ভূমিকার কথা’ স্মরণ করে ১৮১৩ সালে মিউজিয়াম অব লন্ডন ডকল্যান্ডসের সামনে তার ওই ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। লাইম হাউজে একটি সড়কেরও নামকরণ হয়েছে মিলিগানের নামে।

মঙ্গলবার সেই ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলার পর টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস বলেন, “মিলিগানের স্ট্যাচুর ব্যাপারে আমাদের অনেকের মধ্যেই অস্বস্তি ছিল। ব্রিস্টলের ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্বেগ এবং জননিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা এটি দ্রুত সরানোর উদ্যোগ নিই।”

আর মিউজিয়াম অব লন্ডন ডকল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, রবার্ট মিলিগানের ওই ভাস্কর্য ‘অস্বস্তির মধ্যেই’ জাদুঘর প্রাঙ্গণের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল বহু বছর।

“মিউজিয়াম অব লন্ডন মনে করে, ওই ভাস্কর্য ইতিহাসের শ্বেত-বিকৃতির বিতর্কিত সময়েরই অংশ, যা সেইসব মানুষের যাতনাকে অস্বীকার করে আসছে, মিলিগানের মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষত শুকাতে আজও যাদের লড়াই করে যেতে হচ্ছে।”

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!