যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের মৃত্যু ঝুঁকি ‘সবচেয়ে বেশি’

যুক্তরাজ্যে শ্বেতাঙ্গসহ অন্যান্য সব জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে করোনাভাইরাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি বলে এক গবেষণায় বলা হয়েছে।

লন্ডন প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2020, 05:27 PM
Updated : 2 June 2020, 05:27 PM

মঙ্গলবার প্রকাশিত পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের করোনাভাইরাসে মৃত্যু ঝুঁকি দ্বিগুণ।

আর চীনা, ভারতীয়, পাকিস্তানি, অন্যান্য এশীয়, ক্যারিবিয়ান ও অন্যান্য কালো মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় ১০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সরকারি হিসাবে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে এই রোগে মারা গেছেন ৪৯ হাজার ৩৬৮ জন।

আনুপাতিক হারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ কালো ও এশীয়রা বেশি মারা যাওয়ায় এ কারণ খুঁজে বের করার দাবি ওঠে। পরে এ নিয়ে গবেষণা চালায় পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ মে পর্যন্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০৮ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১৮২ জন।

অপরদিকে পাকিস্তানি ৪৮৩, ভারতীয় ৭৪৬ এবং আফ্রো-ক্যারিবীয় ১ হাজার ১৪৩ জন মারা যান। ১৩ মে পর্যন্ত শ্বেতাঙ্গ মৃতের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার ৮৮০ জন।

পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের ৮৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের সারাংশে বলা হয়, কালো ও এশীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার ছিল সবচেয়ে বেশি। যদিও অতীতে শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে কালো ও এশীয়দের মৃত্যুর হার কম ছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বয়সের দিক থেকে ৮০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের মৃত্যু ঝুঁকি ৪০ বছরের কম বয়সীদের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি।

কর্মক্ষম নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষের মৃত্যু ঝুঁকি দ্বিগুণ। আর উন্নত এলাকার চেয়ে অনুন্নত এলাকার বাসিন্দাদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।

এই গবেষণায় পেশা, স্বাস্থ্যগত বিষয় ও স্থূলতার দিকটি বিবেচনায় আনা হয়নি, যদিও কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ঝুঁকির ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো গুরুতৃপূর্ণ। আগে থেকে অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্তদের মৃত্যু ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!