করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ভুল খবরে বিড়ম্বনায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নারী

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক বাংলাদেশি নারীর মৃত্যুর ভুল খবর সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার স্বজনেরা।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2020, 05:56 PM
Updated : 20 April 2020, 06:26 PM

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শামীমা নাসরীন নামের ওই বাংলাদেশি নারীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে।

শামীমা নাসরীনের পারিবারিক বন্ধু এবং নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সার্জেন্ট সাজেদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শামীমা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেও মারা যাননি। বেশ কয়েকদিন আগেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে সন্তানদের নিয়ে কুইন্সের উডসাইডে বসবাস করছেন।

তিনি বলেন, “কিছুক্ষণ (সোমবার) আগেও শামীমার সাথে আমার স্ত্রীর কথা হলো। তিনি ভালোই আছেন। অথচ ফেইসবুকে তার স্বামীর সহপাঠী পরিচয়ে মৃত্যুর সংবাদই শুধু নয়, তার দুটি শিশু সন্তানও সিটি প্রশাসনের হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে ওই নির্জলা মিথ্যাচার উল্লেখ করা হচ্ছে।”

শামীমা নাসরীনের স্বামী মীর্জা হুদা সোহাগের (৪৪) সঙ্গে যশোর ক্যান্টনমেন্টে কলেজে পড়তেন সাজেদুর। নিউ ইয়র্কে এসেও একইসাথে কুইন্স কমিউনিটি কলেজে পড়েছেন।

তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শামীমার স্বামী আইটি সেক্টরের কর্মকর্তা যশোরের সন্তান মীর্জা হুদা মারা যান ২৯ মার্চ। সেই একই সময়ে শামীমাও আক্রান্ত ছিলেন। তবে নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং অন্যান্য নির্দেশাবলী মেনে চলায় সপ্তাহখানেক আগে তিনি পুরিপূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে যান।

শামীমার ছোটবোন ফিয়োনা মীর্জা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি জঘন্য প্রচারণার ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছি। ফেইসবুক অথরিটিকে অভিযোগ পাঠাচ্ছি। এরপর যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেব ফেইসবুকে এমন নিষ্ঠুর পোস্টপ্রদানকারীর বিরুদ্ধে।

তিনি জানান, আত্মীয়-স্বজন এবং পরিচিতজনের অনেকেই ফোন করছেন ‘শোক’ জানাতে।

ফিয়োনা মীর্জা বলেন, “স্বামীকে হারিয়ে শামীমা যেমন কঠিন পরিস্থিতিতে, একইভাবে দুই শিশু সন্তান তাদের বাবাকে হারিয়ে বিমর্ষ। এ সময়ে এই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এই কষ্ট কাটিয়ে উঠতে সহায়তার পরিবর্তে এমন নির্জলা মিথ্যাচারে লিপ্তরা প্রকৃত অর্থে অমানুষের আচরণ করেছেন।”

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!