নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়ানদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরত ‘সাউথ এশিয়ান ফান্ড ফর এডুকেশন, স্কলারশিপ অ্যান্ড ট্রেনিং’ (স্যাফেস্ট) এর অভিযোগ, করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুহার কম দেখাতে এই কাজ করা হচ্ছে।
সাফেস্টের প্রধান নির্বাহী মাজেদা এ উদ্দিন বলছেন, এ কারণে করোনাভাইরাস আক্রান্ত কিছু বাংলাদেশিকে বাড়ি নেওয়ার পর তারা মারা গেছেন।
কোভিড-১৯ মহামারীর নতুন কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্র রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছে। বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এই দেশটিতে সবচেয়ে বেশি; এক দিনে রোগী মৃত্যুর ক্ষেত্রেও একদিন আগে রেকর্ড হয়েছে নিউ ইয়র্কে।
মাজেদা মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ লং আইল্যান্ড জুইশ হাসপাতাল থেকে একজন, কুইন্স হাসপাতাল থেকে দুজন, মাউন্ট শিনাই হাসপাতাল থেকে একজন এবং এনওয়াইইউ থেকে একজন বাংলাদেশিকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। অথচ এরা কেউই সুস্থ হননি।”
তিনি বলেন, “এর আগে আরও অন্তত ৩১ বাংলাদেশিকে রিলিজ দেওয়া হয় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে, যার মধ্যে অন্তত পাঁচজন ইতিমধ্যে মারা গেছেন।”
এদিকে নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনে আকমল হোসেন ঠান্ডু (৬০) এবং কুইন্সে শাহনূর (৬০) নামক দুই প্রবাসী মারা গেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
হাসপাতালের উদ্ধৃতি দিয়ে নিহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়ার পরই তারা নিজ ঘরে মারা যান।
নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ার মার্ক লিভাইন সর্বপ্রথম সুস্থ হওয়ার আগেই রোগীদের হাসপাতাল ছাড়ার বিষয়ে অভিযোগ তোলেন।
মঙ্গলবার নিউ ইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু ক্যুমো গণমাধ্যমকে বলেন, “নিউ ইয়র্কের কোনো হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) খালি না থাকায় অনেককেই রিলিজ দেওয়া হচ্ছে। ভেন্টিলেটরসহ চিকিৎসা-সামগ্রীর সঙ্কটের এ ভয়ংকর তথ্য আগে থেকেই আমরা ফেডারেল প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম।”
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যে টালি নিয়মিত প্রকাশ করছেন, তাতে যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার ১৮৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই নিউ ইয়র্ক শহরেও মৃত্যুর রেকর্ড হয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় আটশর বেশি মানুষের প্রাণ গেছে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে সিএনএন।
গত ১৪ মার্চ নিউ ইয়র্ক রাজ্যে কোভিড-১৯ এ প্রথম মৃত্যুর পর একদিনে এত মানুষের মৃত্যু আর ঘটেনি।