দেশে বিদেশে: করোনাভাইরাসে হয়েছি ঘরবন্দি, পর্ব ১৫

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ছোট বোন ডিনার ফোন পেলাম উত্তরাঞ্চলের শহর বগুড়া থেকে। গলায় কথাবার্তায় এক আতঙ্ক। সে বলল যে, মাকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি, মা হার্ট অ্যাটাক করেছে।

মো. রওশন আলম, যুক্তরাষ্ট্র থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2020, 09:05 AM
Updated : 30 March 2020, 09:17 AM

আমরা যারা বিদেশে থাকি তাদের জন্য সবচেয়ে কষ্টের যে আমরা পিতামাতার দুঃসময়ে দেশে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারি না। নানা ধরণের জটিলতা বিদেশে আমাদের জীবনকে আঁকড়ে থাকে। সবচেয়ে বড় জটিলতার নাম চাকরি থেকে ছুটি আদায় করা। যাই হোক, আমার সুপারভাইজারকে ফোন করে জানালাম দেশে যাচ্ছি। ১০-১২ দিনের একটি অঘোষিত ছুটি ম্যানেজ হয়ে গেল।

ফ্লাইটগুলোতে ডিসেম্বর মাসে টিকিটের দাম থাকে আগুন, যাকে ধরাছোঁয়া যায় না। অনলাইনে অনেক এয়ারলাইন্স ঘাঁটাঘাঁটি করেও বোস্টন থেকে ঢাকাগামী এয়ার টিকিট ম্যানেজ করতে পারলাম না। টিকিটের দাম চড়া, অতি চড়া- বোস্টন টু ঢাকা। অবশেষে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্ট থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে টিকিট পেলাম।

টিকিট যখন কাটছিলাম, অনলাইনে চেক ইন তখন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। জানা থাকা ভাল যে, ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটগুলো ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকেই অনলাইনে চেক ইন শুরু করে দেয়। তাই যখন টিকিট কাটছিলাম, আমার হাতে সময় তখন কম, অর্থাৎ মাত্র ২৪ ঘণ্টার মতো টাইম আছে।

ছোট ভাই বিদ্যুৎ। সে থাকে নিউ ইয়র্কের কুইন্সে। বোস্টন থেকে ড্রাইভ করে সেখানে যেতে লাগে আমার মাত্র তিন ঘণ্টা। তারপর সেখান থেকে জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্ট। রাত এগারোটায় ফ্লাইট। জন এফ কে টু ঢাকা। প্রায় সাড়ে ২৩ ঘণ্টার ফ্লাইট। আমার এয়ারপ্লেনটি আকাশে যখন উড়ছিল, আমার মায়ের ওপেন হার্ট সার্জারি তখন চলছিল। ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে তাই সরাসরি হাসপাতালে মায়ের কাছে। ততক্ষণে মাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। করিডোর থেকে গ্লাসের ভেতর দিয়ে তাকিয়ে আছি মায়ের দিকে। তার মুখে শরীরে অনেক যন্ত্রপাতি লাগানো আছে। ঝুলানো আছে স্যালাইনের ব্যাগ। নার্স ঢালছে সেখানে ওষুধের প্যাক।

দেশে যে মায়ের মুখে হাসি দেখব, খুশি দেখব, সে মা যেন নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে আছে হাসপাতালের বেডে। মায়ের পাশে অন্য বেডগুলোর দিকেও তাকিয়ে চোখ ফেরাতে পারিনি। সেগুলোতেও রোগীরা তাদের জীবনের কঠিন সময় পার করছে। সবাই হার্টের রোগী। মায়ের পাশে দশদিন কাটালাম হাসপাতালেই। তারপর মাকে হাসপাতালে রেখেই চলে আসতে হল বোস্টনের পথে। আল্লাহ তায়ালা, ডাক্তার, নার্সের সেবা ও ছোট বোনটির অক্লেশ পরিশ্রম ও নার্সিং-এ আমার মা সেরে উঠল। সেরে মা তার প্রিয় জায়গা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে তার নিজের বাসভবনে চলে গেল।

ঢাকায় সেই দশদিনে এখানে সেখানে গেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে হলেও ঢাকার পথ আমায় আজো টানে। জ্যাম আছে, ট্র্যাফিকে জীবন থেমে থাকে,  নিঃশ্বাসে কালো বাতাস ঢোকে, ছিনতাইও হয়, তবুও অকুতোভয়ে ছুটে যাই সেখানে বারবার প্রিয়জনদের কাছে। তাদের সঙ্গে ভালবাসার যে অদৃশ্য এক টান থাকে, সেই টানেই বুঝি আমরা প্রবাসীরা সেখানে ছুটে যাই। বিদেশে ব্যস্ত সময় ফেলে বাংলাদেশে তৃপ্তির এক ঢেঁকুর নিয়ে আবার ফিরে আসি সেই বিদেশ ভুবনে। একবার দেশে যাই ক্ষণিকের শীতের পাখির মতো, আবার ফিরে আসি বিদেশে রুজি রোজগারের তাগাদায়। এভাবেই চক্রাকারে চলে আমাদের প্রবাসীদের জীবন।

জানুয়ারির তিন তারিখে ঢাকা থেকে ফিরছি ইতালির মিলান শহরের পথ ধরে বোস্টনে। সত্যিকার অর্থে তখনো আমি জানিনি যে, করোনাভাইরাস চায়নার উহান শহরকে জেঁকে বসেছে। আমার আশপাশের বন্ধুবান্ধবরাও যথেষ্ট সচেতন, তাদের কাছে তখনো করোনাভাইরাসের কথা সেভাবে শুনিনি। এককথায়, ভীতি পৃথিবীতে তখনো ছড়ায়নি। অথচ দুমাসের ব্যবধানে ইতালির সেই মিলান শহর যেন হয়ে উঠেছে এক মৃত্যু উপত্যকা। কোভিড-১৯ এর জীবাণু জেঁকে বসেছে সেখানে।

যাই হোক, মিলান থেকে বোস্টনে যখন পৌঁছলাম, মাত্র তিনদিনের এক ছোট্ট বিরতি নিয়ে আবার যাত্রা হলো ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে। ভ্যাকেশন। পূর্বের নির্ধারিত এক ভ্যাকেশন। ছেলেমেয়ে পুরো পরিবার নিয়ে। প্লেনের টিকিট, সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে হোটেল বুকিং দেওয়া আছে আগে থেকেই। ৭ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি। বোস্টন টু ক্যালিফোর্নিয়া (সান ফ্রানসিসকো টু সান্তা ক্লারা টু লস অ্যাঞ্জেলস টু সান ডিয়েগো ) টু নেভেদা (লাস ভেগাস)। মোটামুটি লম্বা এক ট্যুর। ছেলেমেয়ে (রিনভি ও রাকিন) দুজনেরই ইউনিভার্সিটিতে উইন্টার ব্রেক চলছে তখন। দুজনেই ঘরে ফিরেছে। তাই ওদেরকে নিয়ে এই ঘোরার আয়োজন।

আমরা ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহর যখন খুঁটে খুঁটে ঘুরছিলাম, বিশেষ করে সান ফ্রানসিসকোর নয়নাভিরাম টুইন পিক বা আঁকাবাঁকা লম্বার্ট স্ট্রিট, কিম্বা লস অ্যাঞ্জেলসের হলিউড বা গ্রিফিথ অবজারভেটরি, তখন সেগুলোতে ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। যুক্তরাষ্ট্রে তখনো করোনাভাইরাসের বাতাস বহেনি বা ধরা পরেনি। সান্টা মনিকা বিচ বা লং বিচের ভিজিটরদের কাছে করোনাভাইরাসের নাম তখনো ডিকশনারির পাতায়। ভেগাস সিটি বলে পরিচিত নেভাদার লাস ভেগাসের অলিগলিতেও তখন মানুষের ঢল। সেখানে গায়ে গা লাগানো ভিড় যেন বাংলাদেশের মতিঝিল কিম্বা গুলিস্থান।

কেসিনোতে, সিজারস প্যালেস, ট্রাম্প টাওয়ার, বেলাজিও বা ভেনেসিয়াতে লাখো মানুষ যেন উপচে পড়ছে দিনে কিম্বা রাতে। শহর থেমে নেই। কত আনন্দ দেখেছি মানুষের চোখে মুখে। দুঃখ ভারাক্রান্তের মানুষগুলোর পৃথিবী যেন লাস ভেগাস নয়। করোনাভাইরাসের তির্যক আঘাত তখনো ভিজিটরদের জীবনকে ছুঁয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শহরে করোনার কারণে গাড়ির চাকা থেমে যাবার শব্দ তখনো শোনা যায়নি।

ভ্যাকেশনের পালা শেষ। লাস ভেগাস এয়ারপোর্ট থেকে ১৭ তারিখ (জানুয়ারি) রাত এগারোটায় আমাদের ফ্লাইট। যখন ঘরে ফিরি বোস্টনে, তখনো সকাল হয়ে গেছে। ১৮ জানুয়ারি সকাল। সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। এই ট্রাভেলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের চোখে মুখে করোনাভাইরাসের কোনো আতঙ্ক কোথাও দেখিনি। অফিস আদালত, ইন্ডাস্ট্রি, এয়ারপ্লেন, গাড়ি, বাস, ট্রেন কারো গতিই থামেনি তখনো। পিজা হাটের পিজা, বার্গার কিংবা ম্যাকডোনাল্ডসের বার্গার অথবা ফার্স্টফুড রেস্টুরেন্টের বেচাকেনার যে গতি থাকে, সবই চলছে হরদম, স্বাভাবিক গতিতে। করোনাভাইরাস তখনো কোনো ভীতি নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের টিভি চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে ২১ জানুয়ারি সর্বপ্রথম আমরা জানতে পারলাম যে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিতে করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে। প্রথম একজন আক্রান্ত হয়েছেন। ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়াটল শহরে। তিনি সদ্য চীন সফর করে এসেছেন। তার এক সপ্তাহের মধ্যে আরো জানা গেল যে, এ ভাইরাসটি ক্যালিফোর্নিয়াতেও ছড়িয়েছে। ক্রুজ শিপেও। আমরা সেই ক্যালিফোর্নিয়াতে সপ্তাহ দুয়েক আগে কিনা ঘুরে ফিরেই আসলাম। তারপর ইলিনয় অঙ্গরাজ্য, ধীরে ধীরে আরো সব স্টেটে একটি দুটি করে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কেবল বাড়তেই লাগল। এমনকি ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনেও একজন শনাক্ত হল ১ ফেব্রুয়ারিতে। তিনিও কোভিড-১৯ এর জীবাণু নিয়ে এসেছেন চীন থেকে।

এভাবে দুই-একজন করে আক্রান্তের শিকার হলেও তখনো যুক্তরাষ্ট্রে কেবল গালগল্পই চলছে। ব্যাপারটিকে সেভাবে সিরিয়াসলি নেওয়া হয়নি। ফেডারেল গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তখনো কোনো ট্রাভেল রেস্ট্রিকশন জারি করা হয়নি। ফেব্রুয়ারি মাসের দিনগুলো যখন শেষ হচ্ছিল, করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ এর জীবাণু দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য তখন ছেয়ে যাচ্ছিল। তখনো বাস, ট্রেন, প্লেন চলছিল হরদমভাবেই।

আমি ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে (২৮-২৯ তারিখ) আবার নিউ ইয়র্ক শহরে যাই। আমার নেফিউ বা নব-জাতক ভাতিজাকে দেখতে যাই। সেখানে জ্যামাইকা শহরের হিলসাইড অ্যাভিনিউয়ের উপরে বাংলাদেশি দোকানে ভরপুর নানা জাতের দেশি মাছ, মাংশ, সবজি দেখলে লোভ সামলানো দায়। তাই কুলার ভরে যখন মাছ মাংশ কিনছিলাম, তখনো দোকানগুলোতে ছিল উপচেপড়া মানুষের ভিড়। স্পষ্টতই মনে হচ্ছিল, করোনাভাইরাসের আতঙ্কের ছোঁয়া তখনো নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের শরীরের কাছ দিয়ে যায়নি। নিউ ইয়র্ক ছিল তখনো প্রাণচঞ্চল। সবকিছু স্বাভাবিক।

এরই মধ্যে ঠিক ২৬ তারিখে (ফেব্রুয়ারির) বোস্টনে ঘটে গেল আরেকটি ঘটনা। একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির লিডারশিপ মিটিং বা কনফারেন্স চলছিল মারিয়ট হোটেলে। তার সপ্তাহখানেকের মধ্যে জানা গেল যে, ৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে সেই কনফারেন্সের যোগসূত্র ধরে। মার্চ মাসে করোনাভাইরাস ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে এ ভাইরাস ছেয়ে যায়। ওয়াশিংটন ডিসিও।

বলা যেতে পারে, সেই যে ২১ জানুয়ারি ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়াটল শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল একজনের শরীরে, তা আজ একজনের দেহে আর থাকলো না। মৌচাকের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সাড়া যুক্তরাষ্ট্রে। আজ ২৯ মার্চ। প্রায় দুইমাস সাতদিনের ব্যবধানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একশো হাজার ছাড়িয়েছে। পৃথিবীতে সর্বোচ্চ আক্রান্তের দেশ এখন যুক্তরাষ্ট্র। মৃত্যু ঘটেছে প্রায় দুই হাজারের অধিক। নিউ ইয়র্ক স্টেট যেন পরিণত হয়েছে করোনার স্টেট। তেমনই নিউ ইয়র্ক সিটিও যেন হয়েছে করোনাভাইরাসের শহর। নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ৫৪ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ইতিমধ্যে যার অধিকাংশই নিউ ইয়র্ক শহরের বাসিন্দা, ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ এর সূত্রানুসারে প্রায় তিরিশ হাজার।

যে নিউ ইয়র্ক শহর থাকে সর্বদায় লোকে লোকারণ্য, যে ম্যানহাটনের রাস্তায় পা রাখলে ফিরে আসতে মন চায় না ঘরে, যে টাইমস্কয়ারে মানুষ দিনরাত ২৪ ঘণ্টা আড্ডায় মেতে থাকে, সেসব যেন আজ স্মৃতির পাতায় লেখা অতীতের কোনো বিস্ময়, মনে হবে অনেক আগের কোনো ঘটনা বা মেমোরি। নিউ ইয়র্কে এখন শোনা যায় অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ। হাসপাতালের সামনে করোনা টেস্টের জন্য মানুষের দীর্ঘ লাইন। কোলাহলের এ শহরে থেমে গেছে গাড়ির চাকা। বেড়ে গেছে ঘরে ফেরার পালা। অনেকেই প্রায় ঘরবন্দি। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এ ভাইরাস মানুষকে আটকে ফেলেছে ঘরের চার সীমানায়। অথচ এই নিউ ইয়র্ক থেকে আমি ঘুরে আসলাম এইতো কদিন আগেই, ২৮-২৯ ফেব্রুয়ারি।

আমি বোস্টনের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির দরোজাও বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে। ইমপ্লয়িদেরকে বাসা থেকে অফিসের কাজ সম্পন্ন করার জন্য রিকুয়েস্ট করা হয়েছে। এমনি করে শত শত ড্রাগ ফার্মা বা স্কুল কলেজ, এমনকি সরাকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। মার্চের ১৭ তারিখের দিকেও ম্যাসাচুসেটসে (বোস্টন) প্রায় ২০০ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর জীবাণু ধরা পড়ে। অথচ ১০-১২ দিনের মাথায় এখানে আজ প্রায় সাড়ে চার হাজার আক্রান্ত। আমরা আজ স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি।

যারা রোগ বিস্তারের প্যাটার্ন নিয়ে গবেষণা করে থাকেন, তাদের কাছে একটি বাক্য খুবই পরিচিত। তা হচ্ছে ‘ফ্লাটেন দ্য কার্ভ’ যা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে মোটেই পরিলক্ষিত হচ্ছে না। প্রতিদিন এখানে শুধু নতুন রোগী বাড়ছে আর বাড়ছে। ‘ফ্লাটেন দ্য কার্ভ’ তো নয়ই বরং তা বাড়ছে জ্যামিতিক হারে এক্সপোনেন্সিয়ালি। যুক্তরাষ্ট্র শুধু নয়, সারা পৃথিবী যেন আত্মসমর্পণ করেছে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এ ভাইরাসের কাছে।

এখানে ঘরবন্দি থাকলেও মন পড়ে থাকে বাংলাদেশে। কি না কি জানি হয়? প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। চলতে পথে গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগে যেখানে, সেখানে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে থামাবে কে? তাই বলি আমরা সবাই আজ সচেতন হই, সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে চলার মানসিকতা গড়ে তুলি। সময় থাকতেই সাবধানতা অবলম্বন করি। শুধু সরকারই নয়, সবাই মিলেই সচেতনতার মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিকার গড়ে তুলি।

(চলবে)

লেখক: বোস্টনের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত

ই-মেইল: alamrowshon@gmail.com

আগের পর্ব

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!