শরীরে কোনো উপসর্গ না থাকলেও স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনদের সুরক্ষার চিন্তায় কোনো ঝুঁকি না নিয়ে নিউ ইয়র্কের উইসকনসিনের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে উঠেছেন তিনি।
সেখান থেকেই স্থানীয় সময় শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফেইসবুকে এক ভিডিও বার্তায় নিজের সতর্ক পদক্ষেপের পাশাপাশি মহামারী ছড়ানো রোধে করণীয় বিষয়েও পরামর্শ দেন সাকিব।
তিনি বলেন, “প্লেনে কিছুটা ভয়ে ছিলাম। তবু চেষ্টা করেছি কীভাবে নিজেকে পরিষ্কার রাখা যায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে নেমে সোজা হোটেলে উঠেছি। আমি হোটেলের লোকজনকে অবগত করেছি, যে আমি এখানে থাকব কিছুদিন।”
এতো কাছে এসেও স্ত্রী-সন্তানের কাছ থেকে দূরে থাকার কষ্ট স্বীকারের কথা তুলে ধরে সাকিব বলেন, “আমি যেহেতু প্লেনে করে এসেছি, আমার একটু হলেও ঝুঁকি আছে, এজন্য আমি নিজেকে আইসোলেটেড করে রেখেছি। যে কারণে আমি আমার বাচ্চার সঙ্গেও দেখা করিনি।
“এখানে এসেও বাচ্চার সঙ্গে দেখা না করা অবশ্যই আমার জন্য কষ্টদায়ক, তারপরও আমার মনে হয় এই সামান্য ছাড় দিতে পারলে আমরা অনেকদূর এগোতে পারব।”
নতুন করোনাভাইরাস আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধিসহ মেনে চলাসহ সঠিক কাজগুলো করার তাগিদ দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
তিনি বলেন, “একটা কথা বলতে চাই, কেউ প্যানিক্ড হবেন না। প্যানিক হওয়া আমার মতে ভালো কোনো ফল বয়ে আনবে না। আমরা সংবাদমাধ্যমগুলোতে দেখি যে অনেকে তিন, চার কিংবা ছয় মাসের জন্যও খাবার সংগ্রহ করছে। আমার ধারণা খাবারের ঘাটতি কখনোই হবে না, ইনশাল্লাহ।”
শনিবার রাত ১১টায় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৩৪০ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৬৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যা নিউ ইয়র্কেই সবচেয়ে বেশি ১২ হাজার ৬৯৯, যাদের মধ্যে মারা গেছেন ৬০ জন।
এই রাজ্যে রোববার রাত ৮টা থেকে চিকিৎসক, নার্স, সাংবাদিক, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ছাড়া কেউ অবাধ যাতায়াতের সুযোগ পাবে না। খোলা থাকবে শুধু খাবার দোকান, রেস্তোরাঁ ও ফার্মেসি।
ক্যালিফোর্নিয়া, ইলিনয়, কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যেও একইরকম বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।