শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।
দুপুরে জেনিভায় জাতিসংঘ অফিসের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন ইকোনোমিক মিনিস্টার আল আমিন প্রামানিক, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর দেবব্রত চক্রবর্তী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর এমদাদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব (কমার্স) আলমগীর কবির। এসময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সন্ধ্যায় রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসানের সভাপতিত্বে এবং প্রথম সচিব এ কে এম মহিউদ্দীন কায়েস এর উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। এ প্রেক্ষিতে তিনি উপস্থিত সবাইকে গত ১০ জানুয়ারিতে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন। ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বছরব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মিশন কর্তৃক পরিকল্পিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কে জানান।
উপস্থিত সবাইকে উক্ত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান শ্যামল খান।
আরও বক্তব্য দেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মোহাম্মদ মহসিন, মোহাম্মদ মোজাম্মেল, সহ-সভাপতি অরুন বড়ুয়া, মিয়া সাব্বির রনি, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ গোলাম কামরুজ্জামান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক গৌরীচরণ সসীম, শাহাদাত হোসেন, বেলাল চৌধুরী প্রমূখ।
দিনটি উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য এক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত আহসান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পরিশেষে ভাষা শহিদসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং অতিথিদের দেশিয় খাবারে আপ্যায়ন করা হয়। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তারা, কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |