স্থানীয় সময় শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রাক্কালে ইউনেস্কো নির্ধারিত ‘ল্যাঙ্গুয়েজ উইদাউট বর্ডার’ মূল প্রতিপাদ্যের ওপর ভিত্তি করে আয়োজিত দিবসের প্রধান কর্মসূচি ছিল আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের কূটনীতিক ও শিল্পী এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন।
“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেই ১৯৯৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত জাতিসংঘের প্রতিটি সভায় বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি বাংলা ভাষাকে বিশ্বের দরবারে সর্বোচ্চ সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলাকে অন্তর্ভূক্ত করার অব্যাহত দাবী জানিয়ে চলেছেন। এছাড়া, বিশ্বের আট হাজার মাতৃভাষার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন। এজন্য তিনি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন।“
আলোচনায় অংশ নেন- কমনওয়েলথের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল অর্জুন সোদ্ধু, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিক ও চক্ষুবিষেশজ্ঞ সৈয়দ মোদাসসের আলি, সোয়াসের অধ্যাপক সানজোকা ঘোষ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এবং ব্রিটিশ ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের প্রতিনিধি ড্যানিয়েল পাশা।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ইউকে কমিশন ফর ইউনেস্কোর প্রধান নির্বাহী ও সেক্রেটারি জেনারেল জেমস ব্রিজ-এর একটি শুভেচ্ছা বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো স্লোভাকিয়া, মেসেডোনিয়া, জর্জিয়া ও সার্বিয়ার রাষ্ট্রদূতদের তাদের ভাষায় কবিতা আবৃত্তি ও বক্তব্য। এর পাশাপাশি ভারত, শ্রীলংকা, রাশিয়া এবং বাংলাদেশের শিল্পীরা নিজ নিজ ভাষায় সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশনা করেন । চারশ-রও বেশি আমন্ত্রিত অতিথি অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
এর আগে বাংলাদেশে একুশের সূচনালগ্নে হাই কমিশন ভবনে একুশের গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরীকে মুজিববর্ষ বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। পরে লন্ডনে একুশের ফেব্রয়ারির প্রথম প্রহর রাত ১২টা এক মিনিটে হাইকমিশনার টাওয়ার হেমলেটসের স্পিকার ভিক্টোরিয়া ওবাজ ও মেয়র জন বিগসসহ পূর্ব লন্ডনের আলতাফ আলী পার্কস্থ শহীদ মিনারে ফুল দেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |