বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সূচনা লগ্নে গাফফার চৌধুরীর হাতে এই সম্মাননার ক্রেস্ট তুলে দেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে লন্ডন মিশনে আবদুল গাফফার চৌধুরীর পাশে দাঁড়িয়ে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটিতে কণ্ঠ মেলান হাই কমিশনার, মিশনের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির বিশিষ্টজনরা।
সম্মাননা পাওয়ার পর হাই কমিশনার ও লন্ডন মিশনের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে গাফফার চৌধুরী বলেন, “আমাকে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন যে সম্মান দিয়েছে, তা অভূতপূর্ব। আমি এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানাই, কারণ তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে আজ মহান একুশের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘদিন বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতীয়তাবদের আদর্শ থেকে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে ‘সুকৌশলে ভুল পথে পরিচালিত করার অপচেষ্টা’ হয়েছে।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, মহান একুশের অমর গানের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরীকে মুজিববর্ষে বিশেষ সম্মাননা দিতে পেরে হাই কমিশন ‘অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত’।
“আবদুল গাফফার চৌধুরী শুধু বাঙালি জাতির নয়, বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীর গর্ব। যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের তিনি বাতিঘর। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের বাংলা সাংবাদিকতায়, সাহিত্যে এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সুচিন্তিত ও গবেষণামূলক লেখায় তার অবদান অপরিসীম।”
বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রতিনিধি সুলতান মাহমুদ শরীফসহ আবদুল গাফফার চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজনরা অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন বলে হাই কমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশিকুন নবী চৌধুরী জানান।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |