নিউ ইয়র্কে তিনশ সংগঠন একুশের প্রথম প্রহরে ফুল স্মৃতির মিনারে ফুল দিয়ে দিনটির কর্মসূচি শুরু করে।
একুশ উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কন্সুলেট ভবন, জ্যাকসন হাইটস বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ডাইভার্সিটি প্লাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কুইন্স প্যালেস, বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে উডসাইডে গুলশান টেরেস, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এস্টোরিয়ায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে এবং ব্রঙ্কস, ব্রুকলিন, জ্যামাইকায় বেশ কটি স্থানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়।
একুশের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের মতোই এসব শহীদ মিনারে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি-আমি কি ভুলিতে পারি’ গানে গানে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন সর্বস্তরের প্রবাসীরা।
একুশের প্রথম প্রহরে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের প্রধানসহ কর্মকর্তারা ফুল দেন।
দিবসটি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষিত হওয়ায় রাজনৈতিক সচেতন ভিনদেশিরাও এসেছিলেন কোনও কোনও শহীদ মিনারে।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালি চেতনামঞ্চের উদ্যোগেও অস্থায়ী একটি শহীদ মিনার নির্মাণ হয়। সেখানে বাংলাদেশের সময়ের সাথে মিলিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা একটা এক মিনিটে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়।
জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন এবং এলাকাবাসীর নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ব্যবসায়ী নেতারা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ফুল দেন। ডাইভার্সিটি প্লাজায় খোলা ময়দানের এ কর্মসূচির প্রতি ভিনদেশিদের প্রবল কৌতূহলী দৃষ্টি ছিল।
নিউইয়র্কে ডাইভার্সিটি প্লাজায় স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে জেবিবিএ-র কর্মকর্তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন।
কুইন্স প্যালেসের শহীদ মিনারের কর্মসূচির সমন্বয় করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের নেতারা। মধ্যরাতে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার আগে শহীদ দিবসভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য আলোকে অনেকে বক্তব্যও দেন।
অপরদিকে, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এর যৌথ উদ্যোগে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কনস্যুলেট জেনারেল মিলনায়তনে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে বায়ান্নোর ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক দেওয়া হয়।
নিউ ইয়র্কে ডাইভার্সিটি প্লাজায় স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কর্মকর্তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন।
এরপর দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন স্থায়ী মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ।
‘আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সাথে সাথে নিউ ইয়র্ক সময় ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর অর্থাৎ রাত ১২টা ১ মিনিটে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো পর্ব শুরু হয়।
একুশের উপলক্ষে আলোচনা সভামঞ্চে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তা এবং অতিথিরা।
এরপর কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার নেতৃত্বে কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। একে একে শ্রদ্ধা জানান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতারা, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাঙালি।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |