মঙ্গলবার ইস্ট লন্ডন মুসলিম সেন্টারে এই এলাহি আয়োজনে ৫০০ লিটার তেলে ওই পেঁয়াজু ভাজতে সময় লেগেছে সব মিলিয়ে আট ঘণ্টা।
অলিকে এ কাজে সহযোগিতা করেন আট সহকর্মী। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একজন বিচারক, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিরাপদ খাদ্য বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের কর্মীরাও সেখানে ছিলেন।
ভারতবর্ষের পেঁয়াজু ইংরেজদের দেশে গিয়ে নাম পেয়েছে অনিয়ন ভাজি। গিনেজ বুকে সবচেয়ে বড় ‘অনিয়ন ভাজি’, মানে পেঁয়াজু তৈরির রেকর্ডটি ১০২ দশমিক ২ কেজির।
ওই রেকর্ড ভাঙতে ১৭৫.৬ কেজি ওজনের পেঁয়াজুটি ভাজতে অলি ব্যবহার করেছেন বিশেষভাবে তৈরি একটি চারকোণা পাত্র। গরম তেলে সেটি নামানো ও তোলার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রেইন।
সবশেষে তা খাওয়ার উপযোগী হয়েছে কি না- সে বিষয়ে নিশ্চিত হন গিনেজের বিশেষজ্ঞরা। অলির হাতে তুলে দেওয়া হয় গিনেজের সার্টিফিকেট।
তবে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে তা নথিভুক্ত হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।
একাধিক রেস্তোরাঁর মালিক, ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ওলি খান যুক্তরাজ্যে ভারতীয় খাবারের সুপরিচিত শেফ।
ওলি খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি অত্যন্ত খুশি। এই রেকর্ড বিলেতে বাঙালিদের হাতে গড়া কারি ইন্ডাস্ট্রির সুনাম বাড়াবে।
ওই রেকর্ড ভাঙতে প্রায় দুই বছর আগে ওলি খান ৩০০ কেজি ওজনের পেঁয়াজু ভেজেও সফল হননি। কারণ নিয়ম হল, পেঁয়াজু পুরো ভাজা হতে হবে, অলির পেঁয়াজুর ভেতরে ছিল কাঁচা।
ওলি খানের রেকর্ড গড়ার এ প্রচেষ্টায় সহায়তা করে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে খাবার সরবরাহকারী কোম্পানি জাস্ট ইট। সেই সঙ্গে ইস্ট লন্ডন মস্ক ট্রাস্ট চ্যারিটির জন্য তহবিলও সংগ্রহ করা হয় এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |