শনিবার স্থানীয় সময় রাতে দেশটির রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত মার্তৃম-মনিজ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয় বলে জানায় স্থানীয় পুলিশ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লিসবনের সান্তা মারিয়া মাইওর জইন্তার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল কোয়েলো।
প্রবাসীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশি দুই ব্যবসায়ীর মাঝে চলতে থাকা বিরোধের জের ধরে এ হামলার সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের প্রায় চল্লিশজন পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়িয়ে পড়েন। গত বছর সেপ্টেম্বরে দুই পক্ষের মাঝে প্রথম মারামারির ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে এ বিরোধের জেরে শনিবার তাদের দুই পক্ষের মাঝে আবারও সংঘর্ষ হয়।
এদিকে এ হামলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্তুগিজ কিছু গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে লিসবনে বাংলাদেশি দুই পক্ষের মারামারিকে দাবি করা হয় ‘ধর্মীয় রেষারেষি থেকে সৃষ্ট’ একটি ঘটনা হিসেবে। সেখানে একটি গবেষণা জরিপ দেখানো হয় যাতে অভিবাসীদের মাঝে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মারামারি তাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশি কিছু সংবাদমাধ্যমে এ হামলায় একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে, ঘটনাকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই পক্ষের হামলা বলেও চালিয়ে দেওয়া হয়। হামলার দুই পক্ষের মূল হোতারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বে থাকলেও এ হামলার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো ইন্ধন নেই বলে জানান প্রবাসীরা, হামলা সংঘঠিত হয় তাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে।
এদিকে হামলা পরবর্তী সময়ে আতঙ্কে রয়েছেন পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসীরা এবং অভিবাসন প্রত্যাশায় এদেশে আসা নতুন বাংলাদেশিরা। এমন হামলার জেরে পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানহানির পাশাপাশি অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্য আগামী দিনে অভিবাসনের বিভিন্ন ইস্যুতে কঠোরতা আরোপ করার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |