আমিরাতে বাংলাদেশের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে সংবর্ধনা

নয়াদিল্লিতে বদলি হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে সেখানকার বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি।

জাহাঙ্গীর কবীর বাপপি, আরব আমিরাত প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2020, 11:51 AM
Updated : 19 Jan 2020, 11:51 AM

শনিবার স্থানীয় সময় রাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির এ অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইফতেখার হোসেন বাবুল এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির তালুকদার এর পরিচালনা করেন। 

অনুষ্ঠিত বিদায়ী সংবর্ধনা সভায় স্বাগত ভাষণ দেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইমরাদ হোসেন ইমু।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন যায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিবুল হক খন্দকার।

বক্তব্য দেন- রাষ্ট্রদূত পত্নী জাকিয়া হাসান ইমরান, দূতাবাসের কাউন্সেলর মিজানুর রহমান, জনতা ব্যাংক ইউএই-র প্রধান নির্বাহী আমিরুল হাসান পরিষদ সহ-সভাপতি জামশেদ আলম, আশীষ বড়ুয়া, আব্দুল কাদের সিদ্দিকী মইনুদ্দিন, আজিম শিকদার, জাহাঙ্গীর কবির বাপপি, গোলাম কাদের ইফতি,  এস এম আলাউদ্দিন, জমির হোসেন জাকির হোসেন জসিম ও আইয়ুব খান।

সভায় বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, "আমিরাতে আসার পর আমার প্রচেষ্টা ছিল কমিউনিটির মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করে একই সুতোয় সবাইকে গাঁথা। আমাদের সামনে ছিল দু'টি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের  বাইরে দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বৃহত্তম জনশক্তিকে এমআরপির সুবিধায় আনা এবং ২০১৮ সালে ইউএই সরকার কর্তৃক অবৈধ অভিবাসীদের দেশত্যাগ  কিংবা অবস্থান বৈধ করার  জন্য ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর অবস্থান বৈধ করা কিংবা দেশে ফেরত পাঠানো।

“দুটি চ্যালেঞ্জই আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। এরইমধ্যে আমিরাতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিছু টেকনিক্যাল কারণে তা পুরোদমে চালু না হলেও শিগগিরই হবে প্রবাসীরা বিদেশে বসে ভোট দিতে পারবেন। অবিলম্বে চালু হবে ই-পাসপোর্ট এর কাজ।"

আমিরাতে বাংলাদেশের ‘বন্ধ ভিসা’ ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, “দেশটির সাথে আমরা সম্পর্কের শীতলতা ভাঙ্গার চেষ্টা করেছি, কেবল গত বছরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একবার ব্যক্তিগত সফরসহ চারবার ইউএই সফর করেছেন। সমস্যার অনেকটা সুরাহা হয়েছে। ভিসা সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রবাসীরা শিগগিরই তার সুফল পাবেন।”

“সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ানকে মুজিববর্ষের আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ১৯৮৪ সালে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট শেখ যায়েদ এর বাংলাদেশ সফরের পর চূড়ান্ত পর্যায়ে আর সফর বিনিময় হয়নি। এই সফরের মাধ্যমে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সুরাহা হবে।”

এর আগে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক ও ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!