সৌদিতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিববর্ষ পালনের ক্ষণগণনা উদ্বোধন

শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ও মুজিববর্ষ পালনের ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান পালন করেছে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা।

স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রিয়াদ দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে মিশন উপপ্রধান মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে সঞ্চালনা করেন প্রেস সচিব মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম।

দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন জাতির জন্য স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক ঘটনা। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য কাজ করছিলেন তখনই ঘাতকেরা তাকে হত্যার মাধ্যমে উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। তার গতিশীল নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে কাজ করছে সরকার।”

বক্তব্য দিচ্ছেন কনসাল জেনারেল ফয়সাল আহমেদ

তিনি বলেন, “সৌদি আরবে প্রায় ২১ লাখ বাংলাদেশি বসবাস করছে। মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিদেশিদের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্যও নানা রকম অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দূতাবাস।” 

এছাড়া নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে পরিচয় করে দেওয়ার লক্ষ্যে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশী কমিউনিটির ৮টি স্কুলে বছরব্যাপি নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে নজরুল জানান।

অনুষ্ঠানে রিয়াদ ও জেদ্দায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

বিশেষ অতিথি বক্তব্য হিসেবে বক্তব্য দেন দূতাবাসের  মিনিস্টার এস এম আনিসুল হক, ইকোনমিক মিনিস্টার মো. আবুল হাসান, ডিফেন্স অ্যাটাশে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাঈদ সিদ্দিকী।

জেদ্দা কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে কনসাল জেনারেল ফয়সাল আহমেদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর কারাগারে থাকার ইতিহাস ও কারাবন্দি দিনগুলো ছিল চরম কষ্টের। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে, দেশ আজ স্ব-নির্ভর, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে রূপ নিয়েছে।”

দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে রিয়াদ দূতাবাস ও জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট এর কর্মকর্তা কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [e-mail]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!