স্থানীয় রোববার রাতে নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসে একটি পার্টি হলে ‘গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, সাফল্যের ৭২ বছর’ শীর্ষক মঞ্চে ওই অনুষ্ঠানটি হয়।
‘জয়-বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে মুখরিত পরিবেশে কেক কেটে উদযাপন করা হয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এসময় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত এবং পরে ছাত্রলীগের সংগীত পরিবেশিত হয়।
শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং সকল গণ-অন্দোলনে আত্মাহুতিদানকারীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতারা।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশার পরিচালনায় এবং সাখাওয়াত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, নিউ ইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য আশফাক মাসুক, আওয়ামী লীগ নেতা সফিক উদ্দিন, কফিল চৌধুরী, আবদুল মুহিত, হুমায়ূন চৌধুরী, শেখ মকলু মিয়া, শামীম আরা বেবি, যুবলীগ নেতা জামাল হুসেন, নূরুল ইসলাম, রেজা আবদুল্লাহ স্বপন, শ্যামল কান্তি চন্দ, মো. মনিরুল আলম দিপু, জহিরুল ইসলাম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট বাছির খান এবং সাইকেলে সারাবিশ্ব ভ্রমণকারী এস আর লিংকন।
বক্তারা নীতি ও আদর্শ নিয়ে চলার মাধ্যমে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের পাশপাশি মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন ছাত্রলীগের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান দেশ-প্রবাসের নেতা-কর্মীদের প্রতি।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা মনে রাখতে হবে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ছাত্রলীগকে এই আদর্শ ধারণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।