রোববার দেশটির জাতীয় গ্রন্থাগারের হলরুমে দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে অভিবাসীদের সংগঠন ‘মাইগ্র্যান্ট রাইটার্স অব সিঙ্গাপুর’।
বইমেলা, মোড়ক উন্মোচন, অভিবাসী সাহিত্যের ভবিষ্যত বিষয়ক আলোচনা, ওপেন বর্ডার, কার্নিভাল অব পোয়েট্রি, মানবিক পাঠাগার, জেব্রাক্রসিং-এর আবৃত্তি উপস্থাপনায় মুখরিত ছিল পুরো অনুষ্ঠান।
উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বোয়ে কিম চেঙ। স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক কমিটির প্রধান জাকির হোসেন খোকন।
খোকন বলেন, “পরিবার পরিজন ছেড়ে একাকী প্রবাসে থাকার কারণে অভিবাসীরা বেশিরভাগ সময় একাকীত্ব ও হোমসিকনেসে ভোগেন৷ তাই আমরা সাহিত্য উৎসবের মাধ্যমে অভিবাসীদের সাহিত্যকর্মের মূল্যায়ন করার ক্ষুদ্র প্রয়াস করেছি মাত্র৷ আশা করি এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয়দের সাথে অভিবাসীদের যোগসূত্র তৈরি হবে ও তারা সাহিত্যকর্মে উৎসাহিত হবে৷”
উৎসবে অভিবাসীদের প্রকাশিত চারটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন লেখক আলফিয়ান সাদ৷
বইগুলো হলো- বাংলাদেশি লেখক ওমর ফারুকী শিপনের ‘মাইগ্রেট লাইফ’, মনির আহমদ সম্পাদিত ‘শরীয়তপুরের সাময়িকী পথ’, ফিলিপিনের কবি শাই এস্পোসোর কাব্যগ্রন্থ ‘ড্রিম ইজ মাই রিয়্যালিটি’ ও অভিবাসীদের যৌথভাবে সম্পাদিত রান্নাবিষয়ক একটি বই।
এসময় আলোচকরা বলেন, সিঙ্গাপুরে সাহিত্য পুরস্কার এবং ‘গোল্ডেন পয়েন্ট’ পুরস্কারের মাধ্যমে অভিবাসী লেখকদের সম্মানিত করে তাদের সাহিত্যকর্মকে স্বাগত জানালে অভিবাসীরা লেখালেখির প্রতি আরো উৎসাহিত হবেন৷
ইন্দোনেশিয়ার লেখক ইলি নুর ফাদিল্লাহর সঞ্চালনায় ‘ওপেন বর্ডার’ পর্বে অভিবাসীদের জীবন ও অন্যান্য নিয়ে গল্প বলেন ৬ গল্পকথক। কবি ও আলোকচিত্রী উইন্ডোর সঞ্চালনায় ‘কার্নিভাল অব পোয়েট্রি’ পর্বে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন ৫ অভিবাসী কবি।
বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত অভিবাসীদের ‘জীবনের গল্প জানা’ বিষয়ক পর্ব মানবিক পাঠাগারে পাঠ হয় ৬ অভিবাসীর জীবনবৃত্তান্ত। আবৃত্তি ব্যান্ড জেব্রাক্রশিং তাদের সিগনেচার প্রজেকশন জেব্রাক্রশিং পর্বটি উপস্থাপন করেন।
লেখালেখির কর্মশালার উপর আলোচনা করেন লেখক রাহুল শাহ। আলোচনায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ব্যাখা করেন ও সদ্ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উপস্থিত দর্শকদের লেখালেখির সহজ কৌশল বর্ণনা করেন।
দুই শতাধিক সাহিত্যপ্রেমীর উপস্থিতিতে মুখরিত এই উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘স্ট্রেইট টাইমস’ ও বেশকিছু সংবাদপত্রের সাংবাদিক। অভিবাসী বেলাল হাসান, ইলি নুর ফাদিল্লাহর পাশাপাশি উৎসবে ভূমিকা রাখেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র জয় ওং ও মিশেল।
সমাপনি বক্তব্যে জাতীয় গ্রন্থাগারের কর্মকর্তা রেশমা বলেন, “অভিবাসীদের এমন সুন্দর সাহিত্য উৎসব আয়োজনে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আশা করি ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজনে আমরা সবসময় আয়োজকদের পাশে থাকব৷”
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |