Published : 21 Dec 2019, 10:07 AM
বৃহস্পতিবার কানাডার টরন্টোর কুইন্স পার্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ অভিনন্দন জানান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল।
অন্টারিও প্রিমিয়ার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং কনসাল জেনারেলকে তার সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি পরিবেশবান্ধব পারমাণবিক শক্তিচুল্লি, অর্থনৈতিক অভিবাসন, শিক্ষা এবং হাই-টেক আইটি ভিত্তিক সহযোগিতার উপর জোর দেন।
প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড জানান, আগামি দিনে অন্টারিওতে আরও ২ লাখ ৫০ হাজার দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে, বাংলাদেশ যার অন্যতম উৎস হতে পারে। এই লক্ষ্যে তিনি প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কনসাল জেনারেল উল্লেখ করেন, টরন্টোয় বাংলাদেশের নতুন কনস্যুলেট জেনারেল খোলার বিষয়টি অন্টারিও, সাসকাচুয়ান, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, ম্যানিটোবা এবং আলবার্টায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কানাডার সমর্থনকে স্মরণ করে কনসাল জেনারেল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কানাডার সঙ্গে সম্পর্ককে বিশেষ গুরুত্ব দেয়।”
কনসাল জেনারেল নাঈম আহমেদ যোগ করেন, “কনস্যুলেট জেনারেল গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ-কানাডা বিজনেস ফোরাম -২০১৯’ সফলভাবে আয়োজন করেছে এবং এই বিজনেস ফোরামের মাধ্যমে যে গতির সঞ্চার হয়েছে তা সুসংহত করার জন্য আগামী দিনেও কাজ করার প্রত্যাশা করি।”
কনসাল জেনারেল বিশেষত আইসিটি, জাহাজ নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, বর্জ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তি, ভেটেরিনারি মেডিসিন, মেডিকেল সরঞ্জাম, কৃষি-খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতকে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন।
তিনি বর্তমান সরকারের অধীনে যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে তা দেখতে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো সুনির্দিষ্ট করতে প্রিমিয়ারকে একটি বাণিজ্য মিশন পাঠানোর অনুরোধ করেন এবং অন্টারিও প্রিমিয়ার এতে সম্মত হন।
সভা শেষে কনসাল জেনারেল বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ ইংরেজি অনুবাদ এবং ঐতিহ্যবাহী নকশি কাঁথা অন্টারিও প্রিমিয়ারকে স্মারক উপহার দেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কনসাল মানসুরিন চৌধুরী ও কনসাল মনোয়ার মোকাররম।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |