তাদের অভিযোগ ইউরোপীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের দিকে।
স্থানীয় সময় সোমবার রাজধানী ডাবলিনের ‘স্পাইস অব ইন্ডিয়া’ রেস্তোরাঁয় আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগেই বিজয় দিবসের ওই সভা আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরান, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান , জাতীয় চার নেতা, সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা বোনদের ও স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে।
স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ডাবলিন আওয়ামী লীগ, কর্ক আওয়ামী লীগ, ওফেলি আওয়ামী লীগসহ আরও বিভিন্ন অঞ্চলের আওয়ামী লীগের কর্মীরা। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল ডাবলিন আওয়ামী লীগ।
সঞ্চালকের ভূমিকায় ডাবলিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন।
একই অভিযোগ করেন সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেনও।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রিন্টু ভট্ট্যাচার্য।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কর্ক থেকে আগত আয়ারল্যান্ডের বাঙালি কমিউনিটির নেতা, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও এবারের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রফিক খান।
সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান বলেন, “সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করলে অনুপ্রবেশের এ পরিস্থিতি এড়ানো যেত। তিনি সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করেন।”
আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের কমিটির এবারের আরেকজন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক জসিমুদ্দিন আহমেদ আহ্বায়ক কমিটির সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “কমিটিতে কে নাম দিল, কারা দিল, তা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কেউই জানেনা। এখানে রাজনীতিতে আয়ারল্যান্ডের কর্মীরাই করবে।অন্য কোনও দেশ থেকে লোক এসে আমাদের রাজনীতি করে দিয়ে যাবে না।”
তিনিও আলোচনার ভিত্তিতে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কথা বলেন।
সভার সভাপতি আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি কাউন্টি কিলকেনি থেকে আগত স্বপন দেওয়ান তার সমাপনী বক্তব্যে কঠোর ভাষায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “কোনও ধরনের গঠনতন্ত্রে নেই স্থানীয়দের সাথে আলোচনা না করে এইভাবে একপেশে দলে বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা।”
তিনি অবিলম্বে এ প্রহসনমূলক আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কিবরিয়া হায়দার, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান নান্না মিয়া, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা মো. মানিক ইনজামামুল হক জুয়েল, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল, ওফেলি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শুভ্র, ডাবলিন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টিটু খন্দকার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ খন্দকার , আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুন্না সৈকত, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সদস্য সুমন বড়ুয়া ও গিরীশ বড়ুয়া এবং আশিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা প্রায় সবাই দলে বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের অনুপ্রবেশের কঠোর সমালোচনা করেন ও আহ্বায়ক কমিটি আলোচনার ভিত্তিতে গঠনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কর্ক থেকে আগত আওয়ামী লীগের কর্মী আহমেদ রুহেল, মো. সানোয়ার, মো. আবুল খায়ের, জহিরুল ইসলাম, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও আওয়ামী লীগ নেতা নানু আলী।
ওফেলি আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক তামান্না ফারিয়া, সদস্য রাশেদ বখশী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ আর নয়ন। ডাবলিন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রবীর সরকার, ব্যবসায়ী সাইফুজ্জামান বাবলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রবিন, মো. খালেদ হোসাইন, ধর্ম সম্পাদক খাইরুল ইসলাম পায়েল, সদস্য বাবু, আমিনুল খান, এনামুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা সঞ্জীব সাহা ও মো. শহীদ উল্লাহসহ অন্যান্যরা।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |