‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আয়োজিত সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
‘গণহত্যা প্রতিরোধ ও এ অপরাধের শাস্তি প্রদান এবং গণহত্যার শিকার মানুষদের মর্যাদা ও স্মরণ এবং এ অপরাধ প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস’ বিষয়ক এ সম্মেলনের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাবাব ফাতিমা বলেন, “পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চলমান বা ভবিষ্য যে কোনো গণহত্যা প্রতিরোধ ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে আজ তা নবায়নের দিন।”
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল তা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, “এটি ছিল মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যার একটি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় গণহত্যার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে এটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি এবং জাতিসংঘেও এখন পর্যন্ত স্বীকৃত হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “জাতি হিসেবে আমরা ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন তাঁদের স্মরণসহ গণহত্যার শিকার বিশ্বের সব মানুষদের এ দিনটিতে আমরা স্মরণ করি।”
এ প্রসঙ্গে ২০১৭ সালের অগাস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে ভয়াবহ নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তাও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘সকলের দ্বারা এবং সকলের জন্য’ শিরোনামে জাতিসংঘের ‘কেন্দ্রীয় জরুরি সাড়াদান তহবিল’ (সিইআরএফ) আয়োজিত এক প্লেজিং ইভেন্টে যোগ দেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
অনুষ্ঠানটিতে তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা তহবিল দেওয়ার জন্য ‘জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি সাড়াদান তহবিলকে’ (সিইআরএফ) ধন্যবাদ জানান।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |