পেনসিলভেনিয়ার এজি-প্রার্থী নীনার সমর্থনে সমাবেশ

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্য অডিটর জেনারেল পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন-প্রার্থী বাংলাদেশি-আমেরিকান নীনা আহমেদের সমর্থনে সমাবেশ করেছেন স্থানীয় ডেমোক্রেট নেতা-কর্মীরা।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2019, 08:16 AM
Updated : 4 Dec 2019, 06:35 AM

সোমবার ফিলাডেলফিয়ার একটি মিলনায়তনে এ আয়োজন করে ‘সাউথ ওয়েস্ট  কোয়ালিশন অব ইলেক্টেড অফিসিয়ালস’।

ডেমক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন দৌড়ে নীনার প্রতিযোগী আছে দু’জন। তারা হলেন ক্রিস্টিনা হার্টম্যান ও মাইকেল ল্যাম্ব। তবে এখন পর্যন্ত রিপাবলিকান পার্টির কেউ প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামেননি।

সমাবেশে বক্তব্য দেন স্টেট সিনেটর অ্যান্থনি উইলিয়ামস, সিনেট ডেমক্রেটিক হুইপ স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ জর্দান হারিস, ডেমক্রেটিক হুইপ স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ জোয়ানা ম্যাকক্লিনটন (হাউস ডেমক্রেটিক ককাস চেয়ার) ও কাউন্সিলউম্যান কেনিয়াটা জনসন (চেয়ার অব ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড পাবলিক ইউটিলিটিজ)।

অ্যান্থনি উইলিয়ামস বলেন, “আমরা নীনা আহমেদকে অনেক বছর ধরে মার্কিন পলিটিক্সের মধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্ব দিতে দেখেছি। আমরা তার জ্ঞান,  সততা, কর্মদক্ষতা, মানুষের জন্য ভালোবাসা ও স্বাধীনচেতা নেতৃত্ব দেখে অভিভূত হয়েছি। আমরা সাধারণত কাউকে প্রাইমারিতে শক্ত সমর্থন দেই না।  কিন্তু নীনা আহমেদকে শুধু মুখে মুখেই সমর্থন দিচ্ছি না, আমরা তার জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাব।”

জর্দান হারিস বলেন, “আজ এই তীব্র শীতের মধ্যেও আমাদের ডাকে এ বিশাল কর্মীর উপস্থিতি প্রমান করে যে আমরা নীনা আহমেদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য কতটা আগ্রহী।” 

জোয়ানা ম্যাকক্লিনটন বলেন, “নিনা বাংলাদেশের মেয়ে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন। সেই সময়ে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিজের চোখে দেখেছেন। তাই আমেরিকার গরীব মানুষের অধিকারের জন্য তিনি নিজের আয়েশের জীবন ছেড়ে সংগ্রামে নেমেছেন।” 

কেনিয়াটা জনসন বলেন, “নিনা আহমেদ ফিলাডেলফিয়া সিটির বিভিন্ন কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। মেয়রের এশিয়ান কমিটির প্রধান ছিলেন। জাতীয় নারী সংগঠনের ফিলাডেলফিয়ার চিফ ছিলেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়ান কাউন্সিলের সবচেয়ে ব্যস্ত উপদেষ্টা ছিলেন এবং ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র ছিলেন।”

নীনা বলেন, “অডিটর জেনারেলের দায়িত্ব অনেক বড়। আপনাদের ট্যাক্স ডলার কোথায় খরচ হয় সেটা দেখার দায়িত্ব অডিটর জেনারেলের। সেটা স্বাধীন এবং কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। আজ আমেরিকাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে পয়সা না দিয়ে অনেক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অসৎ আইন প্রণেতা ও ব্যবসায়ীরা লুটপাট করছে।”

এরপর নীনা সমাবেশে জিয়াউদ্দিন আহমেদকে তার নিজের মেন্টর ও রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে পরিচয় করিয়ে বলেন, “উনি দুর্দিনে শুধু অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধই করেননি, উনার বাবাও একজন ডাক্তার, যিনি মানবতার সেবা করার জন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।” 

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নীনার স্বামী নসরুল্লাহ, ওয়েস্ট ফিলাডেলফিয়া থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা মো. হারিস ও মো. এনাম।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!