প্রবাসে বাঙালির নাড়ু ও বড়ার গল্প

চর এলাকায় শস্য উৎপাদন ছাড়া ফলমূল তেমন একটা হয় না। তবে যে ফলের গাছ কয়েক বছরের ব্যবধানেই ফল দেয় যেমন কুল, পেয়ারা, আতা, কলা এগুলো পাওয়া যায়।

মো. ইয়াকুব আলী, সিডনি থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2019, 06:50 AM
Updated : 22 Nov 2019, 06:50 AM

কিন্তু আম, জাম, কাঁঠাল, নারিকেলের গাছ খুব একটা চোখে পড়ে না। অবশ্য পুরনো চর ভেঙে গেলে নতুন চরে এসে বসতি গড়ার পর সময় লাগে গাছগুলো বড় হয়ে উঠতে। তাই আম, জাম, কাঁঠাল বা নারিকেল গাছ লাগানো হলেও তখন পর্যন্ত সেগুলো ফল দেয়া শুরু করেনি। তাই হাট থেকে কিনে এনে সেগুলো খাওয়া হয় বা সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করে পরিবেশন করা হয়।

বছরের একটা সময় হাট থেকে নারিকেল কিনে আনা হতো নাড়ু তৈরি করার জন্য। সেই নারিকেলগুলোর মধ্যে কিছু কিছুর বয়স অনেক বেশি হয়ে যাওয়াতে তার মধ্যে ফোঁপরা গজিয়ে যেতো। হলুদাভ রঙের তুলতুলে ফোঁপরা খেতে দারুণ। আমরা ছোটরা সেটা বাটিতে নিয়ে খেয়ে বেড়াতাম।

তবে নারিকেল দিয়ে যে জিনিসটার জন্য আমরা সারা বছর অপেক্ষা করতাম সেটা হচ্ছে নারিকেলের নাড়ু। বাবা চাচারা নারিকেলের ছোবড়া ছাড়িয়ে নারিকেলের মালয়টাকে একেবারে টেকো মাথার মতো তেলতেলে পরিষ্কার করে ফেলা হতো। আমরা ছোবড়াটাকে মাথায় মুকুটের মতো পরে খেলাধুলা করতাম অনেকসময়।

সেই তেলতেলে নারিকেলের মালয় ভেঙে পানিটা একটা গ্লাসে সংরক্ষণ করা হতো সেটা আমরা এমনি এমনিই খেতাম। এরপর শুরু হতো মায়েদের কাজ। নারিকেলের মালয় নারিকেল কোরার উপরে ধরে নিপুণ দক্ষতায় উপর নিচ করে নারিকেলের মালয় থেকে সবটুকু নারিকেল ছাড়িয়ে নিতেন। সেই কোরা নারিকেল দেখতে হতো অনেকটা সুজির মতো।

নারিকেল কোরার পাশাপাশি মাটির চুলায় একটা পাতিলে পানি জ্বাল দেয়া হতো। পানি গরম হয়ে গেলে তার মধ্যে গুড়ের পাটালি ছেড়ে দেয়া হতো। এরপর জ্বালিয়ে জ্বালিয়ে গুড়ের পেস্ট তৈরি করা হতো। এরপর তার মধ্যে ছেড়ে দেয়া হতো কোরা নারিকেল। তারপর জ্বাল দেয়া চলতো যতক্ষণ না নারিকেলের এবং গুড়ের মিশ্রণটা হাতে নিয়ে দলা পাকানো যায়।

একটু পর পর সামান্য পরিমাণ হাতে তুলে নিয়ে মায়েরা সেটা হাতের তালুতে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতেন যে সেটা দিয়ে গোলা তৈরি করা যাচ্ছে কিনা। আমরা ছোটরা গোল হয়ে হাতের টুরিতে মুড়ি নিয়ে চুলার পাশে বসে অপেক্ষা করতাম কখন নাড়ু তৈরি হবে। এভাবে চলতে চলতে একসময় নাড়ু তৈরি হয়ে যেতো। আমরা টুরির মুড়ির মধ্যে নিয়ে ঘুরেঘুরে সেটা খেয়ে বেড়াতাম। কারটা সবার পরে শেষ হবে সেটা নিয়ে মনে মনে এক ধরণের প্রতিযোগিতা চলতো। কারণ তাহলে সে অন্যদের দেখিয়ে দেখিয়ে খেতে পারবে।

নাড়ু পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে সেগুলো শুকিয়ে মুড়ির টিনের মধ্যে সংরক্ষণ করা হতো। পুরোনো দুধের টিনগুলো ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে কিনে তার মধ্যে মুড়ি রেখে তার ভিতরে নাড়ু রাখা হতো। আমরা ছোটরা বিভিন্ন সময়ে চুরি করে সেগুলো খেয়ে ফেলতাম। মুড়ি আর নাড়ু ছিলো গ্রামদেশের বৈকালিক নাস্তা। বিশেষ করে ক্ষেতের কাজ সেরে পুরুষেরা বিকেলে বাড়ি ফিরলে তাদেরকে একবাটি নাড়ু মুড়ির সঙ্গে এক গ্লাস পানি দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো।

নারিকেলের মতো একইভাবে তালও বাজার থেকে কিনে আনা হতো। এরপর সেটার বাকল সরিয়ে আটিগুলোকে আলাদা করা হতো। তারপর চেলুনির উপর গায়ের জোরে ঘষে ঘষে রস বের করা হতো। সেটা চালুনির নিচে রাখা টিনের গামলায় জমা হতো। রস বের করে নেয়া হয়ে গেলে আমরা ছোটরা আঁটিটা নিয়ে চেটে চেটে খেয়ে বেড়াতাম। এরপর আটিগুলোকে একত্রে রান্নাঘরের কোন এক কোণায় ফেলে রাখা হতো।

পঞ্জিকা অনুযায়ী রথের দিন সকালবেলা সেগুলো নিয়ে গায়ের আঁশগুলো যথাসম্ভব পরিষ্কার করে দা বা কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেগুলো দুভাগ করে ফেলা হতো। এরপর চামচ দিয়ে তুলে আমরা তালের সেই ধবধবে সাদা রঙের ফোঁপরা খেতাম। এগুলোকে রথের দিন সকালেই কাটার নিয়ম ছিলো। এরপর কাটলে নাকি আর ফোঁপরা পাওয়া যায় না।

তালের সেই রস মাটির চুলায় জ্বাল দেয়া শুরু করা হতো। প্রত্যেকদিন একটু একটু করে জ্বাল দিয়ে সেটাকে ঘন করা হতো। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘন হবার পর আতপ চালের ঢেকিতে পাড় দিয়ে বানানো আটা মিশিয়ে গোলা তৈরি করা হতো। ঝোলা গোলাগুলো চুলার উপরে কড়াইয়ে গরম তেলে ভাজা হতো। ছোট ছোট আকৃতির সেই পিঠাগুলোকে আমরা তালের বড়া বলতাম। এগুলো বানাতে বানাতে রাত হয়ে যেতো। পরেরদিন সকালে উঠে তালের গন্ধমাখা সেই বড়াগুলো আমরা খেতাম।

এছাড়াও চালের আটা মিশিয়ে আরও একটা পিঠা বানানো হতো। সেটাকে আমরা বলতাম ‘তালের চাপড়া’। বাড়ির আনাচে-কানাচের ক্ষেত থেকে হলুদের পাতা তুলে আনা হতো। তারপর সেগুলো ধুয়ে তার উপর সমানভাবে বিছিয়ে আর একটা পাতা দিয়ে ঢেকে দেয়া হতো। তারপর সেগুলোকে রুটি ভাজার তাওয়ায় তেলছাড়া ভাজা হতো। হলুদের পাতাগুলো পুরে আলাদা হয়ে যেতো। তখন বলা হতো চাপড়াগুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে। সেই পিঠাও আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে খেতাম।

এরপর নদী ভাঙনের পর আমরা চরভবানীপুর থেকে কুষ্টিয়ার শহরতলি বাড়াদিতে চলে আসলাম সপরিবারে। এখানে এসে তাল আর নারিকেল কেনা লাগতো না, কারণ আমরা দু’ভাই অন্যের গাছের তলা থেকে কুড়িয়ে নিয়ে আসতাম। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে আমরা নির্দিষ্ট গাছতলায় যেয়ে হাজির হতাম। তারপর তাল কুড়িয়ে আনতাম। আমাদের সমবয়সী আমরা সব বাচ্চায় এই কাজটা করতাম। তাই এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে এক ধরণের অলিখিত প্রতিযোগিতাও চলতো।

তবে আমরা দু’ভাই পিঠাপিঠি হওয়াতে অন্যরা আমাদের সাথে পেরে উঠতো না। এভাবে তালের জোগাড় হয়ে যেতো। আর আমরা দুভাই ভালো গাছে চড়তে পারতাম। অন্যের গাছ থেকে নারিকেল পেরে দিলে তারা তার বিনিময়ে নারিকেল দিতেন। এইসব তাল আর নারিকেল দিয়ে নাড়ু আর বড়ার ব্যবস্থা করা হতো। এর বাইরে নাড়ুর আরো একটা যোগান ছিলো।

সেটা হলো আমাদের হিন্দু প্রতিবেশীদের কাছ থেকে। আমাদের এক বাড়ি পরেই ছিলো বলাই দাদু এবং কেশরী দাদুদের বাড়ি। উনাদের দুভাইয়ের বাড়ি পাশাপাশি। উনাদের ছেলেমেয়ে নাতি-নাতনী মিলে এক দঙ্গল ছেলেমেয়ে। বছরের সারা সময়টা জুড়েই উনাদের বাড়িদুটো গমগম করে মানুষের বিচরণে। পূজার সময় আরো বেশি মানুষের সমাগম হয়।

দুর্গাপূজার পর আসে লক্ষ্মীপূজা। লক্ষ্মীপূজার নাড়ু, মুড়ি, মুড়কি সংগ্রহ করার চল ছিলো আমাদের মধ্যে। আমরা দুভাই এটা সংগ্রহ করতে যেতে লজ্জা পেতাম। তাই বলাই দাদু এবং কেশরী দাদুর স্ত্রী উনাদের আমরা কর্তা বলি উনারা পালাক্রমে এসে আমাদের বাড়িতে নাড়ু, মুড়ি, মুড়কি এগুলো দিয়ে যেতেন। তাই সারাবছর জুড়েই আমরা দুর্গাপূজার চেয়ে লক্ষ্মী পূজার জন্য অপেক্ষা করতাম নাড়ুর জন্য। আমাদের মাও নাড়ু, মুড়ি, মুড়কি বানাতেন।

কিন্তু উনাদের বানানো নাড়ুর স্বাদই ছিলো আলাদা। কর্তারা শাড়ির আঁচলের তলে লুকিয়ে সেগুলো এনে আস্তে করে মায়ের হাতে দিয়ে বলে যেতেন, আমার নাতিগুলোকে দিয়ো। এখনও লক্ষ্মীপূজার সময় আসলে তাই দুই কর্তার কথায় সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। ছোট কর্তা আর বলাই দাদু মারা গিয়েছেন। এখন শুধু বেঁচে আছেন বড় কর্তা আর কেশরী দাদু। দেশ ছাড়ার আগে দেখা করতে গিয়েছিলাম। দেশ ছেড়ে আসার পরও নিয়মিত যোগাযোগ হয় এখন পর্যন্ত।

উনারা আসলে আমাদের পরিবারেরই অংশ। বড় কর্তার বড় ছেলে প্রদীপ কাকুর ছেলে বিদ্যুৎ আমার আশৈশব বন্ধু। মেয়ে শিল্পী আমাকে ভাই জ্ঞান করে। কুষ্টিয়া থেকে ফেরার আগেরদিন শিল্পীর বাসায় দাওয়াত করে মেঝেতে শীতল পাটি বিছিয়ে আমার পছন্দের লুচি-লাবড়া খাইয়েছিলো। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সামান্য আয়োজন, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছিলো আমার জীবনের সেরা খাবারটা খেলাম। কারণ তাতে ছিলো বোনের আন্তরিক ভালোবাসার ছোঁয়া।

প্রবাসের এই গতিময় জীবনে এসেও নাড়ু আর বড়ার স্মৃতি তাড়া করে ফিরতো অবিরত। এখানে সব রকমের নারিকেলই পাওয়া যায় এমনকি কোরা নারিকেলের প্যাকেট পাওয়া যায় আর এশিয় দোকানগুলোতে পাওয়া যায় পাটালি। কিন্তু বানানোর সঠিক প্রক্রিয়াটা জানা ছিলো না বলে আমরা একদিন নাড়ু বানালাম, কিন্তু সেটা ততটা স্বাদের হলো না।

এরপর রিনা ভাবীর মা দেশ থেকে আসার সময় সাথে করে নাড়ু নিয়ে এসেছিলো। সেই নাড়ু আমার মায়ের হাতের নাড়ুর কথা মনে করিয়ে দিলো। এরপর পঞ্জিকা ধরে একসময় লক্ষ্মীপূজা এসে হাজির হলো তখন পরিচিত বৌদিদেরকে জ্বালাতন শুরু করলাম নাড়ুর জন্য। পুনম বৌদি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। এখানে আমাদের পাশের সাবআর্বেই থাকেন। দুর্গাপূজায় যেয়ে উনার সাথে পরিচয় হলো। উনি আমার এই নাড়ু প্রীতির কথা জানতেন। তাই একদিন ফেইসবুকে মেসেজ দিলেন- দাদা আপনার জন্য নাড়ু আলাদা করে রেখেছি। কিন্তু দিতে পারছি না, কারণ আমি ইদানিং ড্রাইভ করে অফিসে যাই। তাই আপনার সাথে আর স্টেশনে দেখা হচ্ছে না। তবে আমি ঠিক করেছি একদিন ট্রেনে করে যাবো, সেদিন আপনার জন্য নাড়ু নিয়ে আসবো।

কাকতালীয়ভাবে সেদিন স্টেশনে ঢোকার মুখেই উনার সাথে দেখা হয়ে গেলো। সেই নাড়ু আমি, আমার অফিসের বিদেশি সহকর্মীরা, শ্যালিকা মিশু ও মাহিন, আমার মেয়ে তাহিয়া আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করে খেয়েছিলাম। আশা করছি এখন থেকে প্রতিবছরই লক্ষ্মীপূজার নাড়ু পেতে থাকবো বৌদিদের কাছ থেকে।

অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশি অন্যান্য সব সবজি বা ফসল পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত তালের সন্ধান পাইনি। জানি না আদৌ অস্ট্রেলিয়াতে তাল আছে কিনা। বাসায় কলার বড়া বানিয়ে খাওয়া হয়, কিন্তু তালের ঘ্রাণ নিতে নিতে তালের বড়া খাওয়ার মজাটা পাচ্ছিলাম না। অবশেষে সেই সুযোগও এসে গেলো নবনীতা বৌদির সৌজন্য। উনার শাশুড়ী দেশ থেকে আসার সময় তালের রস জ্বাল দিয়ে সেটা শুকিয়ে সেটাকে আমসত্ত্বের মতো শুকিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। বৌদি সেগুলোকে আবার জ্বাল দিয়ে তালের গোলা বানিয়ে তার কিছু অংশ দিয়ে ক্ষীর রান্না করেছিলেন আর কিছু অংশ দিয়ে বড়া ভেজেছিলেন।

উনিও আমার এই তালের বড়া প্রীতির খবর জানতেন। বললেন, দাদা বাসার ঠিকানা দেন আমি দিয়ে আসবো। আমি বললাম, আপনার কষ্ট করে আসতে হবে না, আমিই অফিস থেকে ফেরার পথে আপনার বাসা থেকে নিয়ে আসবো। এরপর একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে উনাদের বাসা থেকে তালের বড়াও নিয়ে আসলাম। আর বাড়তি হিসেবে পেয়ে গেলাম কাকিমা মানে উনার শ্বাশুড়ির সাথে আমাদের কুষ্টিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় আড্ডা দেয়ার সুযোগ। কারণ উনাদের বাড়ি যশোর।

বাসায় আনার পর বড়াগুলোর অধিকাংশই তাহিয়া খেয়ে ফেললো। কারণ ওর নাকি অনেক ভালো লেগেছে। আর বাকি দুটোর একটা আমি আর একটা আমার গিন্নী খেলো। খাওয়ার সময় মনে মনে নবনীতা বৌদি আর উনাদের পরিবারকে ধন্যবাদ দিলাম প্রবাসে তালের বড়া খাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

প্রবাসের জীবন প্রচণ্ড রকমের গতিময়। এখানে আলাদাভাবে সুখ বা শান্তির অনুসন্ধান করারও সময় নেই, তাই আমি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাগুলোর মধ্যে থেকেই আনন্দ খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করি। সামান্য নারিকেলের নাড়ু এবং তালের বড়া আমাকে সেই সুযোগটা করে দিয়েছিলো। এই আনন্দের মুহূর্তগুলো অনেক ক্ষুদ্র হলেও তার প্রভাব মনের উপর থাকে অনেকদিন।

ধন্যবাদ পুনম বৌদি এবং নবনীতা বৌদিকে আমাদের শৈশব কৈশোরের আনন্দনময় মুহূর্তগুলো কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরিয়ে দেয়ার জন্য।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!