পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহার বিষয়ক জাতিসংঘ রেজুলেশন

‘প্রাকৃতিক তন্তু উদ্ভিজ্জ ও টেকসই উন্নয়ন’ শিরোনামে পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহার বিষয়ক একটি নতুন রেজুলেশন গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ।

নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2019, 06:21 AM
Updated : 22 Nov 2019, 06:21 AM

এর ফলে বাংলাদেশের সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাটের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি চাষীদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পথ সুগম হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের চলতি ৭৪তম সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটিতে বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশনটি গৃহীত হয়। এর আগে বাংলাদেশ এবছরের সেপ্টেম্বর মাসে রেজুলেশনটি দ্বিতীয় কমিটিতে উত্থাপন করে।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জনান, প্রায় ৩ মাসের সমঝোতার পক্ষে-বিপক্ষের মতামত বিবেচনায় নিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ সব সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এ রেজুলেশন গ্রহণের পক্ষে আনতে সক্ষম হয়। ভারত, চীন, রাশিয়া, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, মিশর ও নাইজেরিয়াসহ ৬৮টি দেশ রেজুলেশনটির কো-স্পন্সর ছিল।

রেজুলেশনটি গ্রহণের সময় দেওয়া বক্তব্যে মোমেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সাহসী ও বাস্তবভিত্তিক নীতি-কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, গ্রামীণ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়িত করেছে, ক্ষুদ্র কৃষিজীবি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরকে সুরক্ষিত করেছে। আর এই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই প্রাকৃতিক তন্তু বিশেষ করে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত দ্রব্যের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উপকারিতা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশনটি উত্থাপন ও গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিল বাংলাদেশ।”

রেজুলেশনটি গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ কিভাবে উপকৃত হবে তা জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ।

তিনি বলেন, “রেজুলেশনটি পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুজাত পণ্যের জন্য একটি শক্তিশালী, কার্যকর ও সুনিপুন ‘গ্লোবাল ভ্যালু চেইন’ এর পথ পাকা করল। এর ফলে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৈশ্বিক বাজারে বাড়বে এবং বাংলাদেশের পাটচাষী ও পাট ব্যবসায়ীদের নায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।”

স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, “এই রেজুলেশন প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারের সুবিধা আর কৃত্রিম তন্তু যেমন প্লাস্টিক ব্যবহারের অসুবিধা তুলে ধরার মাধ্যমে পরিবেশগত বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ভূমিকা রাখবে। এতে সদস্য দেশগুলোকে পাট ও অন্যান্য প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহার বিষয়ে নতুন নতুন আইন, নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে, যা একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়।”

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!