শতাব্দী প্রাচীন কেল্টিক উৎসব হ্যালোউইন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরোপে প্রথম এ দিনটি পালন শুরু হয়, পরে খ্রিস্টান জাতির সাথে সাথে এটি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। অন্যান্য অনেক পাশ্চাত্য উৎসবের মত সম্ভবত হ্যালোউইনেরও সবচেয়ে বড় মাপের উদযাপন হয় নিউ ইয়র্ক সিটিতে। সিটির প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটনে প্রতিবছর হ্যালোউইনের সন্ধ্যায় বড় রকমের প্যারেড হয়, সেখানে ছেলে বুড়ো, একা, দম্পতি, সবান্ধব সমাগম হয় হাজারো মানুষের। প্যারেডে অংশ নিতে নেই কোন টিকেট, শর্ত শুধু একটাই সাজতে হবে একটা কিছু, নিজের স্বাভাবিক চেহারায় থাকলে হবে না!
এ সাজসজ্জা আর বাচ্চাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে চকলেট বা ক্যান্ডি সংগ্রহ, যা ট্রিক অর ট্রিট নামে পরিচিত (হ্যালোউইনের আরেক আকর্ষণ)। আজ শুধু মার্কিন বা শ্বেতাঙ্গদের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই তা ছড়িয়ে গেছে এখানে বসবাসকারী সবার মাঝে, বাঙালিরাও বাদ যায়নি। বাচ্চাদের বায়নায় বাংলাদেশি অনেক বাড়ির অন্দরও হ্যালোউইনের সাজে সাজতে দেখা যায়।
হান্টার কলেজের নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী পিয়া দাশপুরকায়স্থও এবার জোকার সেজে চকলেট সংগ্রহ করেছে। এই চরিত্র বাছাইয়ের কারণ জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, জোকারের প্রতি সহানুভূতিই তার কারণ।
তবে নিছক বিনোদন নয় এখানে অনেক সচেতনতামূলক কার্যকলাপও দেখলাম। যুদ্ধ নয় শান্তি চাই- এমন বার্তাময় পোস্টার হাতে ঘুরছে অনেকে। হংকংয়ে চীনা শোষণের প্রতিবাদ ও হংকংয়ের স্বাধীনতার সপক্ষে এক বড় র্যালীও চলছে সমানতালে। ফ্রি ইন্টারনেট ফর অল মুভমেন্টেরও এখানে আছে সরব উপস্থিতি।
উনি বললেন, 'না বাবা ওসব প্যারেডে সত্যি ভূতরা মিশে থাকে ছদ্মবেশীদের সাথে!'
আমি হরর মুভির চিন্তা বাদ দিলাম। না ভদ্রমহিলার কথায় ভয় পাইনি। বরং আমাদের দেশি ভূত, যেমন- শাকচুন্নি, মেছোভূত, গেছোভূত, ব্রহ্মদৈত্য এদের কেউ মনে রাখেনা। সেই দু:খেই এই সিদ্ধান্ত!
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |