লিসবনে বাংলাদেশি নির্মাতার ‘পর্তুগিজ ইন বেঙ্গল’

বাংলাদেশ-পর্তুগাল সম্পর্ক ও পর্তুগিজদের বাংলাদেশ গমনের ঐতিহাসিক একটি প্রামাণ্যচিত্র ‘পর্তুগিজ ইন বেঙ্গল’ প্রদর্শিত হয়েছে লিসবনে, এটির নির্মাতা নোমান রবিন।

নাঈম হাসান, পর্তুগালের লিসবন থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2019, 05:06 AM
Updated : 30 Sept 2019, 05:06 AM

পর্তুগালে অভিবাসীদের নিয়ে সাত দিনব্যাপী মাল্টিকালচারাল ফেস্টিভ্যালে এটি প্রদর্শিত হয়, এতে অংশ নেন বাংলাদেশের শিল্পীরা।

২১ সেপ্টেম্বর লিসবনের ক্যাম্পো মার্টিরেস দ্য পাট্রিয়া পার্কে শুরু হয়ে ফেস্টিভ্যালটি শেষ হয় শুক্রবার। সমাপনী দিন শুক্রবার বিকেলে প্রদর্শিত প্রামাণ্যচিত্রটি দেখতে যোগ দেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

প্রামাণ্যচিত্র দেখে নিজেদের ভালো লাগার কথা জানান বেশ কয়েকজন পর্তুগিজ নাগরিক। স্থানীয় এক পর্তুগিজ নাগরিক বলেন, “আমি বাংলাদেশে পর্তুগিজদের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতাম না। এ প্রমাণ্যচিত্রের মাধ্যমে অনেক অজানা তথ্য আর ইতিহাস জানতে পারলাম।”প্রবাসী এক বাংলাদেশি জানান, তিনিও পর্তুগিজদের বাংলাদেশে ভ্রমণ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতেন না। আজ সেই ইতিহাস জানা হলো। ধন্যবাদ এ প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা ও আয়োজকদের।

এদিকে উৎসব প্রাঙ্গণে রয়েছে লিসবনে স্থাপিত বাংলাদেশের স্থায়ী শহীদ মিনার। এছাড়া রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্মরণীয় ব্যাক্তি ও বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। সাতদিনের টানা আয়োজন সাড়া ফেলে স্থানীয় নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন অভিবাসী কমিউনিটির মাঝে।

ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশি খাবারের প্রদর্শনী স্থানীয়দের মাঝে সাড়া ফেলে। এছাড়া ফেস্টিভ্যাল রেডিও স্কুতায় উঠে আসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভিন্ন ভিন্ন গল্প। চিত্র প্রদর্শনী, ম্যাগাজিন ছাড়াও পুরো ফেস্টিভ্যালে ছিলো বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের খাবার প্রদর্শন ও বিতরণ, সিনেমা, ওয়ার্কশপ ও কনসার্ট।

স্থানীয় পর্তুগিজ ও অভিবাসী শিল্পী-উদ্যোক্তারা ফেস্টিভ্যালে তাদের চিত্রকর্ম ও বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শন করেন। স্কুতা ম্যাগাজিনে উঠে আসে বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী শারমিন মৌয়ের স্থানীয় ফেস্টিভ্যালে করা বিভিন্ন কাজ।

ফেস্টিভ্যালের আয়োজক ও ‘লারগো রেসিডেন্সিয়াসের’ পরিচালক মার্তা সিলভা ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশি কমিউনিটিসহ লিসবনে বসবাসরত সব অভিবাসীদের ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়ায় ধন্যবাদ জানান।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!