জাপানের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশিদের চাহিদা বাড়ছে: রাষ্ট্রদূত

জাপানের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

প্রবাস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 11:31 AM
Updated : 19 Sept 2019, 03:38 PM

বুধবার টোকিও দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় একথা জানান তিনি।

জাপানের ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের ৫০ জন তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীকে তিন মাসের প্রশিক্ষণ উপলক্ষে এ কর্মশালা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান দূতাবাসের প্রথম প্রেস সচিব মুহা. শিপলু জামান।

এতে রাষ্ট্রদূত তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “দূতাবাসের সঠিক উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনার কারণে জাপানের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গত জানুয়ারি মাসে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউট যৌথভাবে জাপানে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটে একটি সেমিনার আয়োজন করে যেখানে জাপানের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দেন। সেমিনারে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। ফলশ্রুতিতে জাপানি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ি ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যপক সাড়া পরে। সেই ধারাবাহিকতায় এবছর জুন মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।”

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “সমঝোতা স্মারকটির মূল প্রতিপাদ্য ছিলো ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের আইটি ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাজুয়েট ও প্রফেশনালদের প্রশিক্ষণ দেবে যাতে তারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সম্পর্কে জাপানি ব্যবসায়িদের জানানো এবং বিনিয়োগে সহায়তা করতে পারবেন। এছাড়া প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত  শিক্ষার্থীরা অনেকে জাপানেই চাকরির সুযোগ পাবেন এবং অন্যরা জাপানের শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।”

ফুজিতসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট হিদেকি কিওয়াকি জানান তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে আইটি ব্যবসার কেন্দ্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা এবং বাংলাদেশকে ‘বিগ ডাটা’, এ.আই, রোবটিক্স ইত্যাদি প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে সহায়তা করা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব মো. খায়রুল আমিন ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!