জার্মানির মিউনিখে অগাস্ট হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে শোকসভা

জার্মানির মিউনিখে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট হত্যাকাণ্ডে নিহতদের একসঙ্গে স্মরণ করে শোকসভা করেছে মিউনিখ আওয়ামী লীগ। 

প্রবাস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2019, 03:57 PM
Updated : 3 Sept 2019, 03:57 PM

স্থানীয় সময় পয়লা সেপ্টেম্বর মিউনিখে আয়োজিত ওই শোকসভায় নুরেমবার্গ, ফ্রাঙ্কফুর্ট, কোলন, ডুরেন, হামবুর্গ ও আশেপাশের শহর থেকে অতিথিরা যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা আওয়ামী লীগের জার্মান শাখার সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম মিয়া।

আলোচনা পর্বে অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক রোমান মিয়া বলেন, "১৫ ও ২১ অগাস্ট একই সূত্রে গাঁথা। দুদিনের খুনিদের উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শকে নিশ্চিহ্ন করা।"

গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক মাহমুদুল হক মুন্সী বলেন, “বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তিত্ব তার সম্বন্ধে বলতে গেলে রাত ফুরিয়ে যাবে। দিন ফুরিয়ে যাবে এমনকি বছরও যথেষ্ঠ না।”

তিনি আরো বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বিশ্বের অনেক দেশ এখনো স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের একজন বঙ্গবন্ধু নেই বলে তারা স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করতে পারেনি। যেমন স্পেনের কাতালোনিয়া ও পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ।”

জার্মান বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহফুজ ফারুক বলেন, "বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পরাজিত শক্তি স্বাধীনতার মূলমন্ত্রকে মুছে দিতে চেয়েছিল।”

তিনি সকল ষড়যন্ত্রকে রুখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দেন।

হাফিজুর রহমান আলম তার বক্তব্যে বলেন, “রাজনীতি ব্যবসা না রাজনীতি আদর্শ।”

তিনি আদর্শিক রাজনীতির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

মাবু জাফর স্বপন বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শকে হৃদয়ে লালন এবং তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ জরুরি বলে মনে করেন। এজন্য তিনি সবাইকে কমপক্ষে তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীটা পড়ার উপদেশ দেন।

মমতাজুল ফেরদৌস জোয়ার্দার বলেন, “যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়া সত্ত্বেও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না নিয়ে আসতে পারা সরকারের বড় ধরনের কূটনৈতিক ব্যর্থতা। এখানে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। কারণ এক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের একথা বলার কোনো সূযোগ নেই যে, তাদের দেশ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত পাঠাতে পারেনা মানবিক কারণে।”

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, "হিমালয়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে যেমন হিমালয়ের উচ্চতা পরিমাপ করা যায় না, বা আটলান্টিকের পাড়ে দাঁড়িয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরতা যেমন পরিমাপ করা যায় না। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধুর বিশালতা ও উচ্চতা পরিমাপ যোগ্য না।"

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, "ইতিহাস বিকৃতিকারীরা ইতিহাস বিকৃত করে পার পাবে না। কারণ আমি আমার নিজের চোখের সামনে ইতিহাস সৃষ্টি হতে দেখেছি। আমি জানি কোনটা সত্য আর কোনটা বিকৃত।"

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!